মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে সময়সীমা নির্ধারণে যে কোনও চাপ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটকে (আসিয়ান) সতর্ক করেছে সামরিক সরকার।
গত ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি’র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় বসে মিয়ানমারের জান্তা। এরপর থেকে দেশটিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সামরিক সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আন্দোলনে নিরাপত্তা সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি বেসামরিক লোক।
দেশটির এমন সংকটে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে মিয়ানমারে সামরিক সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে আসিয়ান। নভেম্বরে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের সম্মেলনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইন্দোনেশিয়ায় বৈঠককালে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তারা ‘অধিকতর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক আইন জারির পর মিয়ানমারে অস্থিরতা বিরাজ চলমান। উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে আসিয়ানের উদ্বেগ প্রকাশ ও প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দেশটির রাজনৈতিক সমস্যার কোনও সমাধান চোখে পড়েনি। আসিয়ানের এমন চাপে বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে চলমান সহিংসতার জন্য দেশটির সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আন্দোলনকে দায়ী করেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সময় নির্ধারণের চাপ ইতিবাচকের চেয়ে অধিক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সূত্র: আল জাজিরা