বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রংপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সকল কর্মকর্তাকে বদলির সুপারিশ করেছে অধিদপ্তরটির তদন্ত কমিটি।
বদলির জন্য সুপারিশকৃত কর্মকর্তারা হলেন- নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা ও জিনাত আরা, উপসহকারী প্রকৌশলী রওশন আলী, আব্দুর রউফ ও এনসিসি রুম্মন শাওন এবং সদর উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান।
সুপারিশে বলা হয়, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেনহাজুল হক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ায় এবং তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্ব যথাযথ পালন করছেন না এই মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় মেনহাজুল হককে বদলি করা সমীচীন।
এছাড়াও নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান পৌনে ৩ বছর যাবৎ রংপুর জেলায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সন্দেহ, অবিশ্বাস ও পারস্পরিক অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষাপটে তাকেসহ সকল সকল কর্মকর্তাকে রংপুর জেলা হতে অন্য সার্কেল বা অন্তত অন্য জেলায় বদলি করার সুপারিশ করা হলো।
এর আগে ১৬ আগস্ট তদন্ত কমিটি রংপুরে এসে তদন্ত করে যায়। পরে তারা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে এই সিদ্ধান্ত নেন। তদন্তের রিপোর্টে নির্বাহী প্রকৌশলি মো. আসাদুজ্জামান ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মেনহাজুল হককে দ্রুততম সময়ে কর্মস্থল হতে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করা হয়।
এ নিয়ে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেনহাজুলক হক বলেন, ‘তদন্ত কমিটি বদলির সুপারিশ করেছে। কিন্তু এখনও বদলি হয়নি। দেখা যাক।’
তবে বদলির সুপারিশে অনেকটাই স্বস্তি এসেছে রংপুরের সচেতন সমাজের মধ্যে। এ নিয়ে রংপুর সুজন সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন- ‘তদন্ত কমিটি যদি তদন্তের মাধ্যমে তাদের দুর্নীতির প্রমাণ পায় তাহলে সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী তাদের শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া উচিত। দুদককে সরকারি কার্যালয়গুলোতে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির ব্যাপারে আরো মনোযোগী হতে হবে। তবে একসাথে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তাতে বদলি করা হলে সরকারে অন্যান্য দফতরগুলোও দুর্নীতি করার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে। এটা রংপুরের জন্য উদাহরণ হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে টেন্ডার জালিয়াতি করে নিজের পছন্দমত ঠিকাদারকে কাজ দেয়া, কাজ না করেই পছন্দের ঠিকাদারকে বিল দেয়া, এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে অন্য ঠিকাদার দ্বারা কাজ করিয়ে কোটি কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়।