শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭০ ‘দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকুন’ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত ২২ বিচারপতির সাক্ষাৎ কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ ভূষিত করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়: প্রেস সচিব মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে ভারত: ফারুক সংস্কার লাগবে, তবে বাকশালের মতো কিছু যেন না হয়: মঈন খান শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা পার্শ্ববর্তী দেশের উসকানি গোটা জাতি ধরে ফেলেছে’ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোনো ছাড় নয়: আইজিপি ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৭ ম্যাচ পর জিতল ম্যানসিটি সালাহ শো শেষেও পয়েন্ট খোয়াল লিভারপুল ফরাসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে মাক্রোঁপন্থি সরকারের পতন

রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিমান হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিমান হামলা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কিয়াউপিউ শহর জুড়ে তীব্র লড়াই চলছে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে। মধ্য জানুয়ারীতে শুরু হওয়া এ সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে সামরিক বাহিনীর ৪০জন সদস্য। এদিকে, শহরটিতে দখল ধরে রাখতে সামরিক বাহিনী শুরু করেছে বিমান হামলাও।

খবরে প্রকাশ, শহরের ম্যাগওয়ে অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের মিলিশিয়া বাহিনী ১০জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এসময় আটক করা হয় দুই শিশুসহ কমপক্ষে ১৭ জনকে।

এদিকে, রাখাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী ও আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর পাশাপাশি নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে এই জান্তা সরকার। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।

মিয়ানমার বর্তমানে নজিরবিহীন জাতিগত বৈষম্য ও নিপীড়নে জর্জরিত। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের তিন বছরের মাথায় সম্প্রতি দেশটির জান্তা সরকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের যোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে দিশেহারা জান্তা বাহিনী। বিদ্রোহী জোটের অন্যতম সদস্য আরাকান আর্মি (এএ) এই মুর্হূর্তে রাখাইন রাজ্যের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই অব্যাহত রেখেছে।

এই রাজ্যে আরাকান আর্মির কাছে বিপর্যয়কর পরাজয়ের শিকার হয়েছে জান্তা সেনারা। বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারছে না তারা। আর এই কারণেই তারা জাতিগত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে। মিয়ানমারের পুরানো রাজধানী শহর ইয়াঙ্গুন ও অন্যতম বড় শহর মান্দালয়সহ একাধিক শহরে জাতিগত রোহিঙ্গাবিরোধী পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। এসব পোস্টার ও লিফলেটের মাধ্যমে জাতিগত রোহিঙ্গাদের বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা মালিকানাধীন দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোঁরায় না যেতে বলা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এইসব শহরে যেসব জাতিগত রোহিঙ্গা বসবাস করেন তাদেরকে তাদের নিজ রাজ্য রাখাইনে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে।

স্থানীয় অধিবাসীদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ের মতো শহরগুলোতে জাতিগত রোহিঙ্গা মালিকানাধীন দোকান ও রেস্তোঁরার সাইনবোর্ডে বা রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পোস্টার দেখা যায়। ইয়াঙ্গুনে একটি ল্যাম্পপোস্টে লাগানো একটি পোস্টারে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী আরাকান আর্মিকে (এএ) নিন্দা জানাতে রাখাইনের রোহিঙ্গা মালিকানাধীন যেকোনো ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলুন।

বহু জাতিগোষ্ঠীর দেশ মিয়ানমার। দেশটিতে কমবেশি ১৩৫টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী বা জাতির বসবাস। এরমধ্যে প্রধান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী বামার। অন্য জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে শান, কারেন, মন, ওয়া ও রাখাইন বা রোহিঙ্গা উল্লেখযোগ্য। বামাররা বার্মান বা বর্মী নামেও পরিচিত।

মিয়ানমারের সামরিক সরকার তরুণ-তরুণীদের সেনা বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করার পরে সম্প্রতি বিদেশি কর্মসংস্থানেও বাধা তৈরি করে। এতে দেশটির যুব শক্তির মধ্যে সরকারবিরোধী মনোভাব এখন তীব্র।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ