মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে রাজ্যের বাড়ি-ঘরে আগুন দিচ্ছে দেশটির সামরিক বাহিনী। রাজধানী সিত্তেতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। অন্য রাজ্যের গ্রামগুলোতেও চলছে অগ্নিসংযোগ।
এদিকে, সামরিক শাসকদের হাত থেকে একের পর এক এলাকা ও সেনা ঘাঁটি দখল করছে বিদ্রোহীরা।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অভিযানে একের পর এক এলাকা হারাচ্ছে সামরিক সরকার। এমন পরিস্থিতিতে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সেনারা।
বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচার বিমান হামলার পাশাপাশি পুরনো কৌশল ব্যবহার করছে তারা। গ্রামে গ্রামে দিচ্ছে আগুন। পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে বাড়ির পর বাড়ি। মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সাগাইংয়ের একটি গ্রাম থেকে বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভিযান চালানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে সেনারা।
গ্রামবাসী জানিয়েছে, পুলিশ প্রায় ১০০টি কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে, যার বেশিরভাগই সার কোন পোতে, আইং দিন এবং তান খো গ্রামে পড়ে। আগুনে পুড়ছে পাকতাও, রামরি এবং মরাউক-উ উপশহরও। এসব অগ্নিকান্ডের কারণে রাখাইনের প্রায় তিন লাখ বাসিন্দা নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা। ফলে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাচ্ছে না।
তবে, রাখাইন রাজ্যে আরও একটি সেনা ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মি। এরমধ্যে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তেতে কারফিউ জারি করেছে সামরিক সরকার। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কারফিউ চলছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যšত প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যšত কারফিউ জারি থাকবে।