নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন সফল করতে পারবে না। এর জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোট প্রয়োগে বাধা দিলে ভোটারদের প্রতিবাদী হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। আর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
শুক্রবার সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের প্রথম ধাপের উদ্বোধন ও কার্যক্রম পরিদর্শনে সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে যান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এসময় নির্বাচনে সহিংসতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি ক্ষমতার প্রয়োগ নয় বরং দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার আহ্বান জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এককভাবে কোন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিনিধিত্বমূলক করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সকলের প্রতিনিধিত্বমূলক সহায়তা কামনা করেন।
ভোটাধিকার প্রয়োগ নাগরিকের দায়িত্ব উল্লেখ করে ভোট প্রয়োগে বাধা আসলে প্রতিবাদের আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটাররা যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে সক্রিয় হন তাহলে ভোটে অনিয়ম রোধ করা সম্ভব।
চার ধাপের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের প্রথম ধাপে ১৪০ টি উপজেলা ও থানায় চলবে ৯ই জুন পর্যন্ত। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত না হতে পারে সেজন্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২ টি বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটির মাধ্যমে নিবন্ধন যাচাই বাছাই করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।