শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাজারে বেড়েছে সেমাই-কিসমিস, চালসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে: এনসিপি নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে : মির্জা ফখরুল যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিমান বাহিনী প্রধান ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ সেন্সরশিপ প্রশ্নে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ইলন মাস্কের মামলা নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান ‘বিমানের টিকিটের দাম বাড়ানোর সুযোগ আর নেই’ এবার মোদিকে যে সতর্কবার্তা দিলেন ট্রাম্প যারা হত্যা-লুটপাটে জড়িত নন, তাদের রাজনীতিতে বাধা নেই: রিজভী ঈদের আগেই ক্রেতাশূন্য বাজার, চালের সঙ্গে মুরগিও চড়া বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদি বৈঠকের উদ্যোগ ঝলমলে আলোকসজ্জায় ফুটে উঠেছে ঈদের আমেজ আ. লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক: আসিফ মাহমুদ আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমির

রাশিয়ার তেলের বিকল্প নেই : ওপেক

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০২২

রাশিয়ার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞার পরিণাম ভালো হবে না বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক। এতে ইউরোপে যে তেল সংকট তৈরি হবে তা পূরণের জন্য বিকল্প উৎস নেই বলেও জানায় সংগঠনটি।

সোমবার (১১ এপ্রিল) ওপেকের মহাসচিব মোহাম্মদ বারকিন্দো বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে তেল সরবরাহ ব্যবস্থায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। এতে ইউরোপে যে তেল সংকট তৈরি হবে, তা পূরণের জন্য বিকল্প উৎস নেই বলে সতর্ক করেন তিনি। খবর আরটির।

ইউরোপে জ্বালানি আমদানির বিরাট একটি অংশ আসে রাশিয়া থেকে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার এ প্রচেষ্টা ভয়াবহ ফল বয়ে আনতে পারে। বিশেষ করে, জার্মানির গোটা শিল্পব্যবস্থায় ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়াভিত্তিক বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি ওএমভির প্রধান ইতিমধ্যে বলেই দিয়েছেন যে রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করাটা তার দেশের জন্য অসম্ভব।

ওপেকের মহাসচিব আরো বলেন, রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ তেল সরবরাহ করা হয় সেই পরিমাণ তেল অন্য কোনো দেশ থেকে বিকল্প উপায়ে সরবরাহ করা সম্ভব না।

ইইউ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা আরোপের কারণে বিশ্ববাজারে প্রতিদিন রাশিয়ার ৭০ লাখ ব্যারেল পরিমাণ তেল সরবরাহ কমে যাবে। তাই তিনি জ্বালানি বিষয়ে ইইউকে ‘বাস্তবধর্মী’ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রাশিয়ার তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পরমাণু জ্বালানির ওপর দ্রুত ও পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার দাবি জানানো হয়। কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে ইউরোপের জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়া ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞা না মানার ঘোষণা দিয়েছে। কোনো কোনো দেশ আবার তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে, সামনে সংকটের সময় আসছে। এর জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের।

এ দিকে, যুক্তরাষ্ট্র তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরোপে সরবরাহের মাধ্যমে জ্বালানি সংকট দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যান্য দেশ নবায়নকৃত জ্বালানি ব্যবহার বাড়ানো চেষ্টা করছে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ