মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অবশেষে দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম ডেঙ্গুতে আরো ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৯৭ সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ৮ নভেম্বর ঢাকায় বৃহত্তর র‍্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি ভারতে বাস খাদে পড়ে নিহত ৩৬ ‘৭২-এ নিজেদের লেখা সংবিধান আওয়ামী লীগই বেশি লঙ্ঘন করেছে’ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার প্রস্তুতি, সঙ্গে যাচ্ছেন ১৬ জন খুব দ্রুত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্ত শুরু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেন্ট মার্টিন নিয়ে নেতিবাচক প্রচার চলছে: পরিবেশ উপদেষ্টা বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের তারিখ ঘোষণা এসএসএফের অস্ত্র এখন সন্ত্রাসীদের হাতে! নির্বাচনে হারলে কী করবেন ট্রাম্প? কানাডায় মন্দিরে হামলা, কী বললেন ট্রুডো? ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ১০ জনের মৃত্যু

রিজার্ভ নামলো ১৯ বিলিয়নের ঘরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
রিজার্ভ নামলো ১৯ বিলিয়নের ঘরে

আমদানির চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ডলার বি‌ক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফ‌লে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ দিন দিন কমছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগের দিন রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়নের ঘর ছাড়িয়েছিল। এরপর রিজার্ভ থেকে ২৯ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রিজার্ভের ধারাবাহিক পতনের পাশাপাশি ডলারের দরও বেড়েছে অনেক। ২০২১ সাল নাগাদ আমদানির জন্য প্রতি ডলার ৮৫-৮৬ টাকায় পাওয়া যেত। এখন প্রতি ডলারের জন্য ১২২-১২৩ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। এরপরও কাঙ্খিত ডলার না পেয়ে অনেকে এলসি খুলতে পারছেন না।

বছরের শুরুতে দেশে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গতকাল (৩১ জানুয়ারি) গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। অর্থাৎ এক মাসে রিজার্ভ কমেছে ১৯১ কোটি ডলার। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পদ্ধতির হিসাবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ মেথডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী বর্তমানে গ্রস রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে না। সাধারণত একটি দেশে ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। নিট রিজার্ভের চিত্র বলছে সে পরিমাণ রিজার্ভ এখন নেই বাংলাদেশের।

বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সময়ে বাণিজ্যিক কিছু ব্যাংক থেকে এক বিলিয়ন ডলারের মতো কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। তার আগের অর্থবছরে ( ২০২১-২২) বিক্রি করেছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ