রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে শুধু বাংলাদেশের রিজার্ভ কমছে না। ভারত, চীন, জাপান, সুইজারল্যান্ডেরসহ অনেক দেশের রিজার্ভ কমেছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ দিয়ে তিন থেকে চার মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের বিল পরিশোধ করা যাবে। রিজার্ভ যদি পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে তাহলে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। তবে নিম্নমুখি হলে দেশের অর্থনীতির জন্য শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাই সরকারকে কৌশলি সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা লেগেছে বিশে^র সব দেশের অর্থনীতিতে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশের রিজার্ভই এখন কমছে। বিশ্বে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকে চীনে। সেই দেশের রিজার্ভ গত সাত মাসে ২০০ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০ বিলিয়ন ডলারে। একই সময়ে জাপানের রিজার্ভ ১০০ বিলিয়ন ডলার কমে ১ হাজার ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তৃতীয় স্থানে সুইজারল্যান্ডের রিজার্ভ ৯৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে হয়েছে ৮৪০ বিলিয়ন ডলার। ভারতের রিজার্ভ সাত মাসে ৬শ বিলিয়ন থেকে নেমে আসে ৫৭২ বিলিয়ন ডলারে। পাকিস্তানের রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
১৯৮১-৮২ অর্থবছরে দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১২ কোটি ১০ লাখ ডলার। পাঁচবছর পর রিজার্ভ বেড়ে হয় ৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ১৯৯২-৯৩ অর্থবছর ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ২ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড হয়।
আগামী দিনগুলোতে রিজার্ভ বাড়াতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকারের নেয়া উদ্যোগ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও নজর দিতে হবে বলে মত দেন তারা।
আমদানি ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমলে, রপ্তানি ও বৈদেশিক আয় বাড়লেই ফের রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকবে বলেও মনে করেন এ দুই অর্র্থনীতিবিদ।