লিওনেল মেসি মৌসুমের শুরুতে বার্সেলোনা ছাড়ার পর থেকে ক্রান্তিকালীন সময় পার করছে ক্লাবটি। দলের সেরা খেলোয়াড় চলে যাওয়ার পর থেকে যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তবে সাবেক মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজ কোচ হতেই বদলে যেতে শুরু করে দলের চেহারা।

নভেম্বরে ব্লগরানাররা যখন কোম্যানকে সরিয়ে জাভিকে দায়িত্বে নিয়ে আসে তখনও বার্সেলোনা লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে সাত-নয়ের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছিল। কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বদলে যেতে থাকে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পরও লিগ শিরোপার চ্যালেঞ্জ তারা ছুঁড়ে দেয় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগুতে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে। শেষ পর্যন্ত একটা সময় ঢুকে পড়ে সেরা চারে।

কিন্তু দুর্বল কাদিজ বার্সেলোনাকে ক্যাম্প ন্যুয়ে হারের স্বাদ দেয়ার পর শিরোপার রেস থেকে ছিটকে পড়ে কাতালানরা। বৃহস্পতিবার রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে আবার পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ফিরে তারা। তবে এখন শিরোপার কোনও সম্ভাবনা নেই। মাদ্রিদ ক্লাবের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট পেছনে তারা। শিরোপা জিততে আর ৪ পয়েন্ট দরকার রিয়ালের হাতে আছে এখনও পাঁচ ম্যাচ। আর বার্সেলোনা যদি আরও একটি ম্যাচ হেরে যায় তাহলে আর কোনো ম্যাচ না জিতলেও হবে রিয়ালের।

এখন পর্যন্ত খেলা ৩৩ ম্যাচ থেকে ৭৮ পয়েন্ট পেয়েছে রিয়াল। দুইয়ে থাকা বার্সেলোনা ৩২ ম্যাচ থেকে পেয়েছে ৬৩ পয়েন্ট। লিগের আর কোনো দলের পক্ষে রিয়ালের পয়েন্ট ছোঁয়ার গাণিতিক সম্ভাবনাও বাকি নেই। তাই এখনই রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া যাচ্ছে না।

সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজ বলেন, বার্সা শুরুতে দুর্দশায় না পড়লে রিয়ালের কপাল পুড়তো। তিনি বলেন, ‘রিয়াল সৌভাগ্যবান যে আমরা অনেক দেরিতে জেগে উঠেছি, শিরোপার জন্য লড়াই করতে পারলাম না। এখন আমাদের আরেকটি উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবতে হবে।’

বৃহস্পতিবারের ম্যাচে জয়ের পর বার্সা কোচ তার দলের খেলার ধরনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন আলভেজও। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারানোর কথাও স্বীকার করেন তিনি। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার স্বস্তিই বড় আলভেজের কাছে। তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, তাদের ভালোভাবে চাপে রেখেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে তীব্রতা হারিয়েছিলাম এবং তারা আমাদের চাপ দিলো। কীভাবে ভুগতে হয় তা জানতে হবে। ফুটবলে জেতা কঠিন, কিন্তু আমরা জিতলাম।’