বাংলাদেশ রেলওয়ে শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু করলেও সাইবার হামলার শিকারের কারণে সার্ভারে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এমনটায় দাবি করেছেন সহজের কর্মকর্তা ফারহাত আহমেদ।
তিনি বলেন, অনলাইনে টিকিট বিক্রির শুরুতে যাত্রীরা টিকিট কিনতে পেরেছিল। তবে অনেক যাত্রীর চাপে একটু ধীরগতি ছিল। কিন্তু এরপরই রেলের ওয়েবসাইটটি সাইবার হামলার শিকার হয়।
এ কারণে যাত্রীরা সাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, কে বা কারা সাইবার অ্যাটাক করেছে জানি না। আমরা বিষয়টি সমাধানে কাজ করছি।
বর্তমানে ট্রেনের অনলাইন টিকিট কাটার নতুন এ সিস্টেম তৈরি করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সহজ। এর আগে এ সেবা দিয়ে আসছিল আরেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিএনএস।
অনলাইনে টিকিট বিক্রির শুরুতেই সাইবার আক্রমণের কারণে টিকিট পেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। টিকিটের পোর্টালে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, অপারেটর পরিবর্তনজনিত কারিগরি কারণে কয়েক দিন অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। আজ (শনিবার) থেকে আবারও আগের নিয়মে অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে, তবে বিক্রি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২৬ মার্চ থেকে শুরু হবে অনলাইনে টিকিট বিক্রি। অর্থাৎ, ২৬ তারিখ থেকে ঘরে বসে অনলাইনেই (eticket.railway.gov.bd) কাটা যাবে ট্রেনের টিকিট। নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী আগের মতো সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে।
জানা গেছে, নতুন ওয়েবসাইট থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট করতে হবে। পুরনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে নতুন সাইটে লগ-ইন করা যাবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি যৌথভাবে টিকিটিং সিস্টেম তৈরি করেছে। চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এসব টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট অনলাইনে ইস্যু করা হচ্ছে।