শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশে আরও ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে সকল দলই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনে আগ্রহী : আলী রীয়াজ বিটিভি-বেতারের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন ৫ আগস্ট আসছে সরকারি ছুটি মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ২৫৩ জন গুমের অকাট্য প্রমাণ মিলেছে: কমিশন ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা, সতর্কতা না হলে বিপদ জুলাইয়ের মধ্যে সনদ তৈরিতে সহযোগিতা চাইলেন আলী রীয়াজ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই: আব্দুস সালাম ট্রুথ কমিশন গঠন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি শাহাবুল হত্যা: সালমান এফ রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সময় ধরে এগোচ্ছে বিএনপি ইসরাইল-ইরান যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে শুক্রবার বৈঠক

শর্তসাপেক্ষ খালেদা জিয়ার  মুক্তির সময়সীমা শেষ হচ্ছে ২৪ সেপ্টেম্বর

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১

বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: চলতি সেপ্টেম্বরেই শেষ হচ্ছে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে নিজের গুলশানের বাসভবনে অন্তরীণ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষ মুক্তির সময়সীমা। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মুক্তির সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার পরিবার।

বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, আবেদনের প্রস্তুতি শুরু করলেও এখনো (শনিবার)পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়নি।

শনিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা রহমান জানান, ‘আবেদন করা হবে। দেখি, কী করা যায়।’

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে তিনদফায় এই মেয়াদ বাড়ানো হয়।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার জানান, তিনি এখনও আবেদনের বিষয়ে অবগত নন। তিনি বলেন, ‘আবেদন তো করতেই হবে। ২৪ সেপ্টেম্বরের আগেই করা হবে আশা করি।’

লন্ডন থেকে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা জানান, তিনি ধারণা করছেন শামীম ইস্কান্দর আমেরিকা থেকে সহসা না ফিরলে সেলিনা রহমান আবেদন করতে পারেন।

জ্বর আসে, আছে দুর্বলতা

গুলশানের বাসা ফিরোজাতেই আছেন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই বলে জানান তার একান্ত সহকারী আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের শরীর বেশি ভালো না। কোনও অগ্রগতি দেখছি না। চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবেন।’

‘ফিরোজা’র একজন দায়িত্বশীল জানান, চিকিৎসকেরা চেকআপের দরকার বলে জানালেও  তিনি (খালেদা জিয়া) সম্মতি দিচ্ছেন না।

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের অন্যতম সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক জটিলতাগুলো আগের অবস্থাতেই রয়েছে। দুর্বলতা অনুভব করেন তিনি। মাঝে-মাঝে জ্বর আসছে। ডাক্তাররা নিয়মিত ওষুধ দিচ্ছেন।’

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কিছু টেস্ট বাসাতেই হচ্ছে।’তবে কিডনি ও হার্টের চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া দরকার বলে জানান তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ের আরেক দায়িত্বশীল জানান, ‘শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও মানসিকভাবে শক্ত আছেন খালেদা জিয়া। গতমাসের মাঝামাঝি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ