শ্রীলংকার নয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির একজন সিনিয়র বিরোধি নেতা অর্থ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় চরম অর্থনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে একটি ঐক্যমতের সরকার গঠন করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন।
বিক্রমাসিংহে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে তার ইতিহাসের সবচেয়ে চরম অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য কয়েক মাসের বিদ্যূৎ, জ্বালনি ও খাদ্য সংকট এবং বিক্ষুদ্ধ জনগণের ক্ষোভকে জ্বালিয়েছে।
৭৩ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে জোর দিয়ে বলেছিলেন সরকার চালানোর জন্য তার যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে এবং তার সরকারে যোগ দেয়ার জন্য বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য মিত্রদের সাথে যোগাযোগ করেছেন।
তবে সম্মুখ সারির বিরোধি আইন প্রণেতা হার্শা ডি সিলভা প্রকাশ্যে দেশের অর্থ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন প্রয়োজনে সরকারের পদত্যাগের জন্য চাপ দিবেন।
ডি সিলভা বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ে রাজাপাকসেকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ‘জনগণের সংগ্রামে’ যোগ দিচ্ছেন এবং এমন কোনো রাজনৈতিক মীমাংসাকে সমর্থন দিবেন না যা প্রধানমন্ত্রীকে তার পদে বহাল রাখে।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘লোকেরা রাজনৈতিক খেলা এবং চুক্তির জন্য জিঞ্জাসা করছে না, তারা একটি নতুন সরকার ব্যবস্থা চায় যা তাদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করবে।’
তিনি সামাগি জনা বালাওয়েগায়া (এসজেবি) দলের একজন সদস্য যেটি রাজাপাকসের পদত্যাগ ছাড়াই ঐক্যের সরকারকে সমর্থন করবে কি-না তা নিয়ে বিভক্ত হয়েছে।