দেশে আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তিশালী দল নেই। সোমবার (১১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পত্রিকা পড়ে দেশ চালান না। দেশের শক্ত অর্থনীতির কথা তুলে ধরে শ্রীলঙ্কার মতো পরিণতি দেশের হবে না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন,‘কোভিড -১৯ মহামারীর দুটি তরঙ্গের পরে, এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব আরেকটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। তাই, আমাদের নিজেদের ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে এবং সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা উচিত নয় বরং আমরা যে যা করতে পারি তা উৎপাদন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আজ সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানিয়েছেন।
সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সরকার প্রধান বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত তার জমি থেকে কিছু না কিছু উৎপাদন করা যা শুধু তাদের চাহিদাই মেটাবে না, দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হতেও সাহায্য করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব সংকটের কারণে দেশ যাতে কোনো সংকটের সম্মুখীন না হয় সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে এই বার্তা প্রচার করার আহ্বান জানান যে, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিনিয়তই বিশ্ব নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। সেসব মোকাবিলা করে দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সুগম রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে।
দেশের শক্ত অর্থনীতির কথা তুলে ধরে শ্রীলঙ্কার মতো পরিণতি দেশের হবে না বলেও জানান তিনি। শ্রীলংকার সঙ্গে যারা বাংলাদেশের তুলনা করছে, তাদের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ কখনও ঋণখেলাপি হয়নি। লাভ-ক্ষতির বিবেচনা করেই সরকার যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
দেশে একমাত্র আওয়ামী লীগই মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করে বলে জানান সরকার প্রধান। বিনিয়োগের জন্য অনেকেই এখন বাংলাদেশকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমম্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিগত তিন বছরের কাজের ওপর একটি বিবরণ উপস্থাপন করেন।