কয়েক দশকের মধ্যে তীব্র আর্থিক সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থতার জন্য শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেছে দেশটির সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মীরা।
সরকারবিরোধী এ ধর্মঘটে দেশটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আজ শুক্রবার আবারও সড়কে নেমে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এসময় দেশজুড়ে প্রধান শহরগুলোর দোকানপাট বন্ধ ছিল। বাস, ট্রেনের চালক ও শ্রমিকরা ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় গণপরিবহনও বন্ধ ছিল। এতে যাত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়ে।
বন্ধ ছিল বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোর প্রধান রেলস্টেশন। নিকটবর্তী টার্মিনাল থেকে শুধু কিছু সরকারি বাস চলাচল করেছে।
এরইমধ্যে, শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বলেছেন- ব্যবহার করার মতো মাত্র ৫ কোটি ডলার রিজার্ভ আছে শ্রীলঙ্কার। অথচ, ২০১৯ সাল শেষে শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ ছিল ৭৬০ কোটি ডলার।
ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ও আমদানীকৃত খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের সংকটের কারণে দ্বীপটিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে, যা কখনো কখনো সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে।