নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নিজেরা নিজেরা মিলে সংসদ সাজিয়েছে। এসব করে সংসদের কফিনে শেষ পেরেক মেরেছে ক্ষমতাসীনরা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না অভিযোগ করেন, ৭ জানুয়ারির ভোট গণতান্ত্রিক বিশ্বের কেউ সমর্থন করেনি। বড় বড় কথা বলে ক্ষমতায় থাকা যাবে না মন্তব্য করে মান্না বলেন, ভয় পায় বলেই মিছিলের মতো কর্মসূচিতেও বাধা দিচ্ছে সরকার। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এক সপ্তাহের মধ্যে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কথা বললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মির্জা ফখরুলসহ অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, গত পরশুদিন শুনেছি সরকার নাকি তাদেরকে ছেড়ে দেবে কিন্তু গতকালকে মির্জা ফখরুলের জামিন হয়নি। ২৮ অক্টোবরের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেইটে মির্জা ফখরুলের কোনো ছবি আছে? আমির খসরু মাহমুদের কোনো ছবি আছে? সেখানেতো বিএনপির কোনো লোক যায়নি। বিএনপির লোক মিটিং করেছে সেই ফকিরাপুলে আর বিচারপতির বাসভবন হলো কাকরাইল মোড়ে।
জাতিসংঘ বিবৃতি দিয়েছে, ২৮ অক্টোবরের এই সন্ত্রাস সরকারি দল করেছে। সরকার তখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছে আপনারা এটা কীভাবে জানলেন? তখন জাতিসংঘ বলেছে, আমরা স্যাটেলাইট ক্যামেরার মাধ্যমে সবকিছু দেখেছি।
বাধা দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না উল্লেখ করে, সরকারকে যেতেই হবে বলেও মন্তব্য করেন মান্না।
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, কৃষক দল নেতা মফিজুর রহমান লিটন, কাদের সিদ্দিকী, শফিকুল ইসলাম সবুজ, তোফায়েল হোসেন, আবুল হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, আফজাল হোসেন মৃধা, অহিদুল ইসলাম, ওবায়দুর রহমান, পাবনা জেলা বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর মিয়া, যুব জাগপার নেতা আমির হোসেন আমু, ছাত্রদল নেতা মাইনুল ইসলাম রুবেল, ইলিয়াছ আহমেদ প্রমুখ।