পবিত্র ঈদুল ফিতর পালনে নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। শুক্রবার (২৯শে এপ্রিল) তাই ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।
বিকেল থেকেই পুরো সদরঘাট যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়। রায় সাহেব বাজার থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ছিলো বাড়তি যানবাহনের চাপ।
দুপুরের পর থেকেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। যাত্রীদের লঞ্চে তোলার জন্য হাঁক-ডাক দিচ্ছেন কর্মচারীরা। যাত্রীরাও নিজ গন্তব্যের লঞ্চে দ্রুত উঠেছেন। মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে বিশাল বড় বড় লঞ্চ পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। যাত্রী বেশি থাকায় অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অনেক লঞ্চ ঘাট ছেড়ে দিচ্ছে।
অন্যদিকে যাত্রী বেশি হওয়ায় অনেকেই আবার লঞ্চে উঠতে পারেনি। তাই পরবর্তী লঞ্চের জন্য ট্রার্মিনালে অপেক্ষা করছেন। পরিবার নিয়ে এই অপেক্ষাটা অনেকের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক লঞ্চ যাত্রার জন্য তৈরি হয়েছে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) আলমগীর কবির জানান, যাত্রীদের জন্য কোনো লঞ্চ সংকট হবে না। ঈদ যাত্রার জন্য ১৫০টিরও বেশি লঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। বিকেলে ৫০টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ঘাট ছেড়ে গেছে। আর ৭০টি লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে যাত্রীদের জন্য।
সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদার জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এছাড়া ঈদযাত্রায় জননিরাপত্তার কোন ঘাটতি না থাকে সেদিকেও আমাদের নজর রয়েছে। অপরাধীরা মানুষের ভিড় দেখে যেন কোনো ধরনের অপরাধ না করতে পারে সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।
আর আগত যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে নৌ পুলিশ।