শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় চাকরিপ্রত্যাশীরা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেপ্তার সংলাপের প্রথম দিনেই বিএনপির সঙ্গে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা ১০ বছর পর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয় রাষ্ট্র সংস্কারে পাঁচ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ‘সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচন নিয়েও কাজ করুন’ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হত্যার অভিযোগ জাতীয় নাগরিক কমিটির বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম ইসরায়েলে ২৪০টি রকেট ছুড়ল হিজবুল্লাহ ইংল্যান্ডের শক্তিশালী দল ঘোষণা, নতুন মুখ জাফার মায়ামির আরেকটি শিরোপা অঘটনের রাতে মাদ্রিদ-বায়ার্নের হার গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি কর দেয়ার রায় প্রত্যাহার জামিন পেলেন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান

সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনার অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : অক্টোবর ২, ২০২৪
সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনার অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা

২০২০ সালে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে প্রায় ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনার অভিযুক্ত তৎকালীন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহি। অভিযোগ রয়েছে, ভাগ্নে ও চাচাতো ভাইকে নিয়ে বড় এ চুরির ঘটনা ঘটান তিনি। শুধু স্বর্ণ চুরি নয়, প্রতিষ্ঠানে নিয়োগেও করেছেন অনিয়ম। ভুয়া সনদে নিয়োগ দিয়েছেন নিজের বান্ধবীকে। সেই সাথে যুবলীগ নেতা হওয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করেছেন তদন্ত।

দেশের ইতিহাসে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে স্বর্ণ চুরির বড় ঘটনা ঘটে। এতে নড়েচড়ে উঠে আর্থিক খাত। এরপর আবার ২০২০ সালে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে প্রায় ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহি।

২০০৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। পরে ব্যাংকের ভল্টের দায়িত্ব দেন তার ভাগ্নে ক্যাশ অফিসার নূর মোহাম্মদ ও এজিএম চাচাতো ভাই হেদায়েত কবিরকে। আর এদেরকে সাথে নিয়েই ভল্টের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ লুট করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।

শুধু স্বর্ণ চুরি নয়, প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগেও করেছেন নানা অনিয়ম। ভুয়া সনদের মাধ্যমে প্রথমে নিয়োগ দেন নিজের বান্ধবী কোহিনুর আক্তারকে। আর ২০০৯ থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত ১৭৬ জনের নিয়োগের মধ্যে ১৩৮ জনকেই দিয়েছেন নিজের ও বান্ধবীর গ্রামের।

২০২০ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ৪ মাসে ১৫০ কোটি টাকার স্বর্ণ চুরি করেন ভল্ট থেকে। পরের বছর স্বর্ণ চুরির মামলা করে দুদক। যে মামলার এক নম্বর আসামি হন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। এছাড়া আরও ৮ জন আসামি থাকলেও রাজনৈতিক ক্ষমতায় চার্জশিট থেকে নিজের নাম বাদ দিতে বাধ্য করেন তিনি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পুনরায় সামনে আসে স্বর্ণ চুরির বিষয়টি। এতে আদালতে মামলার কার্যক্রম আবারও চালু হয়। কিন্তু চার্জশিটে নাম না থাকায় এখনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি মহির বিরুদ্ধে। সেই সাথে অন্যান্যরাও রয়েছেন পলাতক।

সমবায় ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ঝর্ণা প্রভা দেবী বলেন, করোনার সময় স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তখন সে লোভ করে এখান থেকে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা নিয়ে যায়।

এছাড়া ভল্ট থেকে স্বর্ণ চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করেন অভ্যন্তরীণ তদন্ত। উল্টো মন্ত্রণালয়ের তদন্ত আদালতে মামলা করে স্থগিত করান।

সমবায় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আহসানুল গনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করেন অভ্যন্তরীণ তদন্ত। উল্টো মন্ত্রণালয়ের তদন্ত আদালতে মামলা করে স্থগিত করান তিনি।’

এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি দুদক। বর্তমানে সমবায় ব্যাংকে ৮ হাজার ৩৪৮ ভরি বন্ধকি স্বর্ণের বিপরীতে ঋণ দেয়া আছে ৩০ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর চুরির ঘটনার পর স্বর্ণ ও টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেক গ্রাহক।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ