নতুন জাতীয় বেতন স্কেল না করা পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ৬০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি।
শনিবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার পর বিগত ৭ (সাত) বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও চিকিৎসা ব্যয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের সরকারি কর্মচারীদের জীবন-যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান অত্যাবশ্যক।
সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ নতুন বেতন স্কেল না করা পর্যন্ত অসহায় ও হতাশাগ্রস্ত সরকারি কর্মচারীদেরকে অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করাসহ চিকিৎসা ভাতা চার হাজার টাকা দেওয়া এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য নিরসে বাংলাদেশ সচিবালয়ের মতো সচিবালয় বহির্ভূত অধিদফতর, পরিদফতর, দফতর-প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত, প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, স্টেনোগ্রাফার, কম্পিউটার অপারেটর, স্টোর কিপারসহ সমমানের সমমর্যাদার কর্মচারীদের পদ-পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বপদে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা ও বেতনস্কেল প্রদান, ডিপ্লোমা নার্সদের মতো সমশিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা হেলথ টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও সমশিক্ষাগত যোগ্যতাধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদাসহ বেতনস্কেল প্রদানের দাবি জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ তাদের দাবি বাস্তবায়নে আগামী ২৪ মে প্রধানমন্ত্রী কাছে স্মারকলিপি, আগামী ২৬ মে থেকে ৯ জুন রাজধানীর বিভিন্ন দফতর/প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক বিভাগ ও জেলাগুলোর দাবির সমর্থনে কর্মচারী সমাবেশ এবং দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১১ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান এবং সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, কার্যকরী সভাপতি নূরুন্নবী, রায়হান চৌধুরী ও আসাদুজ্জামান প্রমুখ।