বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: শুক্রবার সকাল ১০টা। এ সময় রাজধানীর শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার দেখলে যে-কারও মনে হবে শিক্ষার্থীরা এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছে বুঝি। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৪০ জন মহিলা এখানে এসেছেন তাদের দক্ষতা প্রমাণ করে জর্ডানি পোশাক কারখানার চাকরি নিশ্চিত করতে।
বাংলাদেশে সাধারণত কারখানার গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘ সারি থেকে শ্রমিক বেছে নেওয়া হয়। তবে এখেত্রে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। এখানে জর্ডানের নিয়োগকারীরা আসেন পোশাক শিল্পের জন্য দক্ষ কর্মী বেছে নিতে।
একটি জর্ডানি কোম্পানি তাদের পোশাক কারখানার জন্য প্রায় ৪০০ জন নারী অপারেটর খুঁজছে।
স্টেকহোল্ডাররা জানিয়েছেন, আরও ১৫টি কোম্পানি জর্ডানে কারখানায় কাজ করার জন্য পোশাক শ্রমিক নিচ্ছে।
তারা বলেন, বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় সাধারণত মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে হেল্পার নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু জর্ডানের নিয়োগদাতারা সরাসরি অপারেটরদের নিয়োগ দিচ্ছে। এ কারণে চাকরিপ্রার্থীদের বাস্তবজ্ঞান মূল্যায়ন করে তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
তারা জানিয়েছেন, মহামারির কারণে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভারতের বিমান চলাচল কমিয়ে দেওয়ায় এসব দেশের শ্রমিকরা জর্ডান যেতে পারছে না। এ কারণে জর্ডানি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিতে চাইছেন বেশি করে।
শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, ছয়তলা ভবনের নিচতলার চারটি কক্ষের প্রতিটিতে কমপক্ষে ১৫ জন কর্মীকে সেলাই মেশিনে বসিয়ে কাজের মান যাচাই করা হচ্ছে।
শুধু শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে কেন্দ্রে নয়, গত সাড়ে তিন মাস ধরে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার এবং বাংলাদেশ জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারেও।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, জর্ডানের বিভিন্ন পোশাক কারাখানার প্রতিনিধিরা প্রতি সপ্তাহে ঢাকায় আসেন দক্ষ নারী গার্মেন্টস কর্মী বাছাই করতে।
আরও তিন ডজন জর্ডানি কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে নারী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছে।
আমেরিকার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি থাকার কারণেই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে জর্ডান। শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য সেখানে কারখানা স্থাপন করছে বিদেশি প্রস্তুতকারকরা।
জর্ডানে কারখানায় ৭৫ শতাংশ বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি আছে। এ নিয়মের সুবাদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে কাজ করার দুয়ার খুলে গেছে বাংলাদেশের দক্ষ—বিশেষ করে নারী—পোশাক শ্রমিকদের জন্য। জর্ডানে ন্যূনতম মজুরি বাংলাদেশি কারখানার মজুরির তিনগুণ। এছাড়াও বিমান টিকিট, খাবার, আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার খরচও নিয়োগকারীরাই বহন করে।
পথ দেখিয়েছে স্প্যারো গ্রুপ
বাংলাদেশের স্প্যারো গ্রুপের যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি টাস্কার অ্যাপারেল লিমিটেড প্রায় ৪০০ জন নারী অপারেটর খুঁজছে। তাদের কারখানায় ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬০০ জন বাংলাদেশি নারী শ্রমিক কাজ করছেন।
স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, ‘গত তিন মাসে আমরা মাত্র ২৫০ কর্মী নিয়োগ দিতে পেরেছি। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী পরের সেশনের জন্য অর্ডার বুক করে ফেলায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি কর্মী বাছাই করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের কারণে আমরা শ্রমিকদের ইন্টারভিউ নিতে এবং নিয়োগ দেওয়া শ্রমিকদের ভিসা পেতে সমস্যায় পড়ে গেছি।’
শোভন ইসলাম আরও জানান, তারা শ্রমিকদের বিমান টিকিট, আবাসন ব্যবস্থা, খাবার এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিয়োগকারী সংস্থা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বিওইএসএল) মাধ্যমে।
টাস্কার অ্যাপারেল লিমিটেডের প্রতিনিধি ভেলমুরুগান বলেছেন, কোভিড মহামারি ও লকডাউনের কারণে শ্রমিকদের কাছ থেকে কম সাড়া পাচ্ছেন তারা।
টাস্কার অ্যাপারেল লিমিটেডের মতোই ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড কোং, অ্যাসেল ইউনিভার্সাল গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারিং কোং এবং রেইনবো টেক্সটাইলের প্রতিনিধিরাও জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনে ঢাকার তিনটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন ।
সুযোগের দেশ
বিস্তর এফটিএর কারণে জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম উন্মুক্ত অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিন ধরেই স্থিতিশীল দেশ প্রশংসা পেয়ে আসছে জর্ডান।
ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) কার্যালয়ের তথ্যানুসারে, জর্ডানের সঙ্গে আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি (এফটিএ) রয়েছে।
আমেরিকা ও জর্ডান ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব থেকে লাভবান হচ্ছে। এই সম্পর্কের অন্যতম মূল উপাদান হলো আমেরিকা-জর্ডান মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি (এফটিএ), যা ২০০১ সালের ১৭ ডিসেম্বর কার্যকর হয় এবং ২০১০-এর ১ জানুয়ারি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়।
এছাড়াও জর্ডান সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। সেজন্য বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীরা দেশটিতে বিনিয়োগ করছে।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘আমি ও আমার ভারতীয় পার্টনার একই ব্র্যান্ডের জন্য কাজ করি। ২০১০ সালে আমরা ভাবলাম, বিদেশে একটি কারখানা স্থাপন করা যায়, যেখানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা পোশাক তৈরি করবে। সে সময় আমরা বাহরাইন, ইথোপিয়া ও জর্ডানে সুযোগ খুঁজছিলাম।’
প্রথমে তারা বাহরাইনে কারখানা কিনবেন বলে প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালের মধ্যে দেশটির শুল্কমুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
শেষ পর্যন্ত কিছু বিষয় বিবেচনা করে শোভন ইসলামরা জর্ডানে চলে যান। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে প্রধান কারণ ছিল জর্ডানের ভৌগোলিক অবস্থান ও আমেরিকার সঙ্গে দেশটির দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক।
এছাড়াও জর্ডান ইজরায়েলের প্রতিবেশী। কাজেই তারা ইজরায়েলের বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য বন্দরের চেয়ে ইজরায়েলের বন্দর থেকে জাহাজ অত্যন্ত দ্রুত ইজরায়েলে যায়। জর্ডান আল-দুলাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও রিয়েল এস্টেট থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি ইজরায়েলি বন্দর আছে। সেখানে যেতে সময় লাগে মাত্র আধঘণ্টার মতো।
সে সময় হংকংভিত্তিক ভারতীয় মালিকানাধীন ক্লাসিক গ্রুপ ইতিমধ্যে জর্ডানে কারখানা স্থাপন করে ফেলেছে। ওই কারখানা চালাত শ্রীলঙ্কান শ্রমিকরা। শোভন ইসলাম জানান, ‘এখন জর্ডানের পোশাক কারখানার মধ্যে ক্লাসিক গ্রুপে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি নারী শ্রমিক কাজ করে।’
টাস্কার অ্যাপারেল লিমিটেড ৪৫০ জন শ্রমিক নিয়োগ করে দুটি প্রডাকশন লাইন নিয়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে কোম্পানিটির প্রডাকশন লাইন বেড়ে ১৬টি হয়, শ্রমিকের সংখ্যা হয় ২ হাজার। যদিও মহামারির কারণে ৪টি প্রডাকশন লাইন বন্ধ হয়ে যায়।
তবে বেশ ভালো সংখ্যক উচ্চমূল্যের পণ্যের অর্ডার বুক করেছেন জানিয়ে শোভন ইসলাম বলেন, ‘গত বছর আমরা ৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। আশা করছি এ বছর সেটি ১০ কোটি ডলারে ঠেকবে।’
আকর্ষণীয় বেতন ও অন্যান্য সুবিধা
জর্ডানের পোশাক কারখানাগুলোতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। তারা ভালো বেতনও দিচ্ছে।
বিওইএসএল-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে প্রত্যেক নারী শ্রমিক মাসে কমপক্ষে ২২ হাজার টাকা উপার্জন করছেন। যেখানে চাকরির শুরুতে বাংলাদেশে তারা ৮ হাজার থেকে ৮ হাজার ৪২০ টাকা বেতন পান।
তার ওপরে জর্ডানি পোশাক কারখানাগুলো শ্রমিকদের বিমান টিকিট ও অন্যান্য খরচও বহন করে।
সম্প্রতি রেইনবো টেক্সটাইলে অপারেটরের চাকরি পেয়েছেন সোনিয়া আক্তার। সোনিয়া জানালেন, তিনি এই প্রথম জর্ডান যাচ্ছেন। নিয়োগদাতারাই তার ভিসা ও বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করেছে।
অ্যাসেল ইউনিভার্সাল গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারিং কোং-এর প্যাকিং ম্যানেজার ইমরান বলেন, সাধারণত সুইং অপারেশন না জানলে আমরা কর্মী নিচ্ছি না। তবে কিছুটা পড়ালেখা জানা থাকলে কারখানার অন্যান্য দাপ্তরিক কাজে স্বল্পসংখ্যক কর্মী নেওয়া হয়।
বিওইএসএল-এর সেক্রেটারি মো. আব্দুস সোবহান বলেন, ‘নারী গার্মেন্টস কর্মী নিয়োগের জন্য এ বছর প্রায় ৩৬টি জর্ডানী কোম্পানি চাহিদাপত্র দিয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত শ্রমিক আমরা পাচ্ছি না।’
তিনি জানান, কেবল ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড কোং-এরই বিভিন্ন পর্যায়ে ২০ হাজার শ্রমিক লাগবে।
ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড কোং এই মুহূর্তে ১ হাজার ২০০ জন কর্মী খুঁজছে বলে টিবিএসকে জানান কোম্পানিটির প্রতিনিধি নুরুল হক সবুজ।
গত বছরের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, জর্ডান তার তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য এক বছরে ১২ হাজার দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নেবে।
জর্ডানের আম্মানে অবস্থিত অ্যাসেল ইউনিভার্সাল গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারিং কোং-এর প্যাকিং ম্যানেজার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘আমাদের কারখানার বর্তমান জনশক্তি-চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ২৫০ জন শ্রমিক খুঁজছি। তবে নিয়োগ নিশ্চিত করেছি প্রায় ১৭০ জনের।
‘আমি জুনের ১৮ তারিখে ঢাকা এসেছি। আশা করেছিলাম দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিক নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারব। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে তা হয়নি।’
তিনি জানান, জর্ডানের কারখানায় সাধারণত শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভারতের শ্রমিকরা কাজ করতে যান। কিন্তু মহামারির কারণে এসব দেশ বিমান চলাচল কমিয়ে দেওয়ায় এসব দেশের শ্রমিকরা জর্ডান যেতে পারছে না।
এ কারণে জর্ডানি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা এখন বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিতে চাইছেন বেশি করে।
হাইফা অ্যাপারেলের প্রডাকশন ম্যানেজার কামরুল হাসান সাইফুল বলেন, তারা জর্ডানের কাজ করার জন্য ৬০ জন শ্রমিক খুঁজছেন। ইতিমধ্যে তারা জন ৪০ জন পেয়েছেন।
বিওইএসএল-এর তথ্যানুসারে, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯-এর জুন পর্যন্ত ৯ হাজার ৩০৭ জন গার্মেন্টস শ্রমিক জর্ডানে গেছেন। তাদের মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ৯ হাজার ১৯৯ জন।
২০২০ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ৯০টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ৭০ হাজারের বেশি শ্রমিক নিয়োগ করে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ শ্রমিকই নারী। বেটার ওয়ার্ক জর্ডান-এর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর মাঝে প্রায় জর্ডানের শ্রমিক রয়েছে প্রায় ১৬ হাজার, বাকি ৫৩ হাজার অভিবাসী শ্রমিক। অভিবাসী শ্রমিকরা গেছেন বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত, চীন, কম্বোডিয়া, মাদাগাস্কার, পাকিস্তান, মায়ানমার ও সিরিয়া থেকে।
জর্ডান সরকার ঠিক করে দিয়েছিল যে, পুরো কোম্পানির মোট শ্রমিকের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ জর্ডানিয়ান হতে হবে। কোনো কোম্পানি যদি গ্রামাঞ্চলে স্যাটেলাইট ইউনিট স্থাপন করে, তবে ২০ শতাংশ জর্ডানিয়ান শ্রমিক নিলেই চলবে।
জর্ডানের পোশাক কারখানা আন্তর্জাতিক ক্রেতা, বিশেষ করে আমেরিকার জন্য বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক তৈরি করে।