শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র করবে না বিএনপি: তারেক রহমান ‘নতুন প্রস্তাবের সঙ্গে ৩১ দফা মিলে যাবে’ এ বছর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ছে না দুর্বল সাত ব্যাংক সহায়তা পেল ৬৫৮৫ কোটি টাকা আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা: জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ পিবিআইর কাছে সাগর-রুনি হত্যার ৩২০১ পৃষ্ঠার নথি হস্তান্তর আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা ‘আন্দোলনে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে পাঠান’ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বিশেষ ‍দূত নিয়োগ ট্রাম্পের ১৩ শতাধিক সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয় আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক যুবকদের লক্ষ্য অর্জনে স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

সরকার কি সঠিক পথে আছে, যা বলছে রাজনৈতিক দলগুলো

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : অক্টোবর ৪, ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ড. ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক পথে এগুচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া গেছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিএনপি মনে করে, জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী মনে করছে সঠিক পথেই আছে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে এই সরকারের মেয়াদের বিষয়টি। সংস্কার ও নির্বাচন কতদিনের মধ্যে শেষ হবে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার এখনও সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি।

রাষ্ট্র সংস্কারে শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই শুরু হবে সংস্কারের পরবর্তী কার্যক্রম।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া। তা না হলে ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমরা মনে করি, তাদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কিন্তু তারা নির্বাচনের চাইতেও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্কারে। তাদের কথা শুনে মনে হয়, এই সংস্কার করতে ৫ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে। তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেন নি।’

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে জাতীয় পার্টি সন্তুষ্ট হলেও, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘আমরা এই সরকারের কর্মকাণ্ডে খুশি তবে একটা জিনিস বলব, ল অ্যান্ড অর্ডারের বিষয়টি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’ এদিকে, জামায়াতে ইসলামী মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকার সঠিক পথেই আছে। তবে নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ দেওয়া উচিত বলে মনে করে দলটি।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এমন একটি কঠিন অবস্থার পরে, এতগুলো চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে, এই সময়টাকে খুব একটা পর্যাপ্ত বলে আমার মনে হয়না। স্বল্প সময়ে তারা যতটুকু এগিয়েছেন, যতটুকু অগ্রগতি তারা লাভ করেছেন সেটার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’

তবে দলগুলো মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ