রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১১:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশে মোট বেকার কত, জানাল বিবিএস ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হতে হবে: আমীর খসরু সময় মতো নির্বাচন না হলে আমরা মাঠে নামবো : জয়নুল আবদিন দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত বিমানবন্দর থেকে আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়া গ্রেপ্তার ফ্রান্স-স্পেন সফরে যাচ্ছেন না প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান খলিলুরের স্থলপথে ভারতের আমদানি বিধিনিষেধ, আনুষ্ঠানিক চিঠি পায়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দরে আটকা পণ্যবাহী ট্রাক শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক ভারতীয় নিষেধাজ্ঞায় ভোমরা স্থলবন্দরে শিশুখাদ্য রপ্তানিতে শঙ্কা ভারতীয় নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে আখাউড়া স্থলবন্দর ‘ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সব রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তির দায়িত্ব’ নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ হওয়ার পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না: ডা. তাহের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের ফের শুনানি ১ জুলাই

সহজ হলো ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়া

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১

করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা (সিএমএসএমই) যেন সহজে ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে বিশেষ প্রণোদনার ঋণ নিতে পারেন, সে জন্য নীতিমালা আরও সহজ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সিএমএসএমই খাতের ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ বাস্তবায়ন সহজতর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ের বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান। এ পর্যায়ে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন আরও সহজতর করতে বেশকিছু নির্দেশনাসহ নতুন কিছু নির্দেশনা যোগ করে একীভূত আকারে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বরাদ্দকৃত মোট লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৭০ শতাংশ কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ মাঝারি শিল্প খাতে প্রদান করা যাবে। আর কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে প্রদত্ত ন্যূনতম ৭০ শতাংশের মধ্যে উৎপাদন ও সেবা উপখাতে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৬৫ শতাংশ এবং ট্রেডিং (ব্যবসা) উপখাতে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ প্রদান করা যাবে। একইসঙ্গে মাঝারি শিল্প খাতে প্রদত্ত সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা উপখাত হতে সম্মিলিতভাবে অর্জন করতে হবে। এই প্যাকেজের আওতায় বছরে মোট ঋণ বা বিনিয়োগের ন্যূনতম ৮ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে। এ প্যাকেজের মেয়াদ হবে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতের উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধন এবং মেয়াদি উভয় ধরনের ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করা যাবে। মাঝারি খাতের উদ্যোক্তা শুধুমাত্র চলতি মূলধন ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। কোনো উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহণের পর সর্বোচ্চ এক বছর এ প্যাকেজের আওতায় সরকার হতে ভর্তুকি পাবে। খেলাপিরা এ প্যাকেজ থেকে ঋণ পাবে না।

প্রতিটি ব্যাংক তাদের নিজস্ব নীতিমালার আওতায় ঋণ ও বিনিয়োগ ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহক নির্বাচন করবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নিজ বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করবে।

এ ঋণের সুদ বা মুনাফার হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের সুদের সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। বাকি ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে সরকার।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ