কেমন হয়, যদি রূপকথার মতো এক রাজ্যের খোঁজ মিলে সমুদ্রের অতল জলের গভীরে। এমন রাজ্যের সন্ধান না মিললেও প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে খোঁজ পাওয়া গেছে এমন এক রাস্তার, যা হয়তো প্রাচীন কোনো সভ্যতার অংশ। আবার সেটি হতে পারে নিছকই কিছু পাথরের সমষ্টি। আমেরিকার সমুদ্র বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্লোরেশন ভেসেল নটিলাস’ এর একদল বিজ্ঞানী খুজেঁ পেয়েছেন এমনই এক রাস্তার সন্ধান।
প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীর সবচেয়ে রড় ও গভীরতম মহাসাগর। যার নাম শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে বি¯তীর্ণ জলরাশির ছবি। এই মহাসাগর নিয়ে বিজ্ঞানীদের কৌতুহলের শেষ নেই। সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরের আমেরিকা সংলগ্ন অংশে পানির গভীরে খোঁজ পাওয়া গেছে এক রাস্তার। হলুদ রঙের ইট দিয়ে বাঁধানো এই রাস্তার সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্লোরেশন ভেসেল নটিলাস’ এর বিজ্ঞানীরা।
রাস্তাটির কাঠামো ভেঙেচুড়ে গেলেও খাঁজ কাটা নকশা দেখে ধারণা করা যায়, কোনও এক সময় এটি ব্যবহারযোগ্য ছিল। এটি হয়তো গ্রিসের পৌরাণিক উপকথা অনুযায়ী সমুদ্রের তলায় হারিয়ে যাওয়া আটলান্টিস দ্বীপ, গবেষকরা এমনটাই ভাবছেন।
এই আটলান্টিস দ্বীপটির কথা সর্বপ্রথম পাওয়া যায় প্লেটোর ‘ডায়ালগ টাইমাউস অ্যান্ড ক্রিটিয়াস’ বইটিতে। তার লেখা অনুযায়ী প্রায় ৯০০০ বছর আগে আটলান্টিস সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল। কোনো এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চিরতরে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এই সভ্যতা।
তবে গবেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, এই রাস্তাটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে তৈরি হয়েছে। কারণ এই রাস্তাটির পাথর হায়ালোক্লাস্টাইট পাথর থেকে তৈরি। আর এই হায়ালোক্লাস্টাইট পাথর তৈরি হয় অগ্নুৎপাতের ফলে। যেসব পাথরের গায়ে সাধারণত ফাটল তৈরি হয়। তার ফলেই এই অভিনব নকশা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।