বয়সভিত্তিক স্তরে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার সাফ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ দেশগুলো সমীহ করলেও আসরে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবছে টাইগ্রেসরা। টুর্নামেন্টের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে কোচের চাওয়া পূরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফেডারেশন।
৩ বছর পর আবারও মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। মাঝের সময়টায় বদলে গেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল। জুনিয়ররা সিনিয়র হয়েছে বেড়েছে অভিজ্ঞতা। বদলে গেছে ফুটবলারদের চলন বলন। সঙ্গী আকাশচুম্বি আত্মবিশ্বাস।
নেপালে টুর্নামেন্ট শুরুর পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপকে দিয়ে শুরু হবে সাবিনাদের আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াই। ১০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান ও দুদিন পর বর্তমান ও পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে দিয়ে শেষ হবে গ্রুপ অভিযান।
আগের ৫ আসরে খালি হাতে ফিরলেও এবার শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক দলে আলো ছড়ানো কৃষ্ণা-তহুরা-মারিয়ারাই আত্ববিশ্বাস যোগাচ্ছে কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনকে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, দর্শকদের কাছ থেকে একটা কমেন্ট এসেছে যে আমাদের স্কোরিং লেভেল খুব দুর্বল। আমার মনে হয় আমরা জিনিসটা নিয়ে অনেক কাজ করি স্যাররাও জিনিসটা নিয়ে কাজ করায়। আমার মনে হয় আমরা ওই জায়গাটা অনেক ইম্প্রুভ করেছি।
বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানি সরকার বলেন, আমরা অনেকদিন যাবত একসঙ্গে আছি। এতে আমাদের টিম বন্ডিংটা অনেক ভালো। আমরা অনেক ভালো ট্রেনিং করছি, হার্ডওয়ার্ক করছি প্রতিদিন। ইচ্ছা তো সবার ভালো কিছু করার।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দু’ম্যাচের সিরিজের দলে খুব একটা পরিবর্তন আনতে চান না বাংলাদেশ কোচ। সাফের ক্যাম্পে থাকা ২৮ ফুটবলার থেকেই বেছে নেবেন সেরা ২৩। যেখানে ঠাঁই হতে পারে আফিদা-রিপার। নেপালে পাড়ি দেয়ার আগে ফিফা উইন্ডোতে শক্তশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চান গোলাম রব্বানি ছোটন। ইতিবাচক ফেডারেশনও।
বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বারি ছোটন বলেন, রিপা শেষ সাফে খুবই ভালো খেলেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ ভেল্যুয়েবল প্লেয়ার হয়েছে। প্রান্তি-আফিদা এরা ভালো খেলেছে। সবার জন্য উন্মুক্ত যে ভালো খেলবে সেই প্রাধান্য পাবে।
ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ফিফা উইন্ডোতে আমরা আমাদের মহিলা জাতীয় ফুটবল দল দুটি ম্যাচ যেন খেলতে পারে বা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যাওয়ার আগে আমাদের মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের যে প্রস্তুতির প্রয়োজন সে প্রস্তুতিটি নিয়ে, সেরকম ম্যাচ খেলে আমরা আসলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে চাই। সে লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
৬ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক নেপাল। ৭ সেপ্টেম্বর আসরের অন্যতম আকর্ষণ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। গ্রুপ পর্ব শেষে ১৬ সেপ্টেম্বর দুই সেমিফাইনাল। দুদিন বিরতি দিয়ে শিরোপা লড়াই।