রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত, জানালেন অবসরপ্রাপ্ত সেনারা জাতীয় ঐক্যের ডাক দেশের রাজনীতিতে বড় উদাহরণ এক দল থেকে আরেক দলে ‘ডিগবাজি’ বন্ধে নীতিগত সিদ্ধান্ত সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা সিরিয়ায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে সামরিক আইনের জন্য ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বেলারুশে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা পুতিনের ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত গ্লোবাল সুপার লীগের শিরোপা জিতেছে রংপুর রাইডার্স ৮৬৬ ম্যাচ খেলে প্রথমবার ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নয়ারের এমএলএস ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ মেসি সেভেন সিস্টার্স, হিন্দু ও পাকিস্তান নিয়ে চিন্তিত কেন ভারত? শীতের তাণ্ডব, তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে মুসলিম বলেই বসবাস করতে দেবেন না হিন্দুরা ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৬

সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : মে ২৬, ২০২৪
সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু

সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার বিষয়ে আদালত যে আদেশ দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়াছেন দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রোববার (২৬ মে) বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের কাছে তিনি এ কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, মেয়ে ও কয়েকজন স্বজনের সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন। সেই আদেশ দেয়ার পর থেকেই বেনজীর আহমেদের ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ আর্থিক লেনদেনকারী মোট ৩৩টি অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এর ফলে তিনি ব্যাংক থেকে আর কোন লেনদেন করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে তার সব ক্রোককৃত সম্পত্তি জব্দ হিসেবেই থাকবে।

গত ২৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে দুদকের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু গণমাধ্যমে তাঁর (বেনজীর) বিষয়ে একই ধরনের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সব প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগগুলোর বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছে।

সম্প্রতি দেশের এক জাতীয় দৈনিকে দাবি করা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে তার নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এ ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানে রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। এ ছাড়া পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ, ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ