সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের পরিচয় ব্যবহার করেই ডেসটিনির গ্রাহকদের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। হাইকোর্টে এমন মন্তব্য করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। তারা বলেছে, হারুন- অর-রশিদ দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় দিয়েছিলেন।
বুধবার (২৯ জুন) হারুন-অর-রশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) বোর্ড গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
শুনানিতে হারুন-অর-রশিদের আইনজীবী মাইনুল ইসলাম বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা দেখলে গা জ্বলে কেন আপনাদের।
দুদক আইনজীবী অভিযোগ করেন, ভিআইপি আসামিরা বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলকে রিসোর্ট বানিয়ে ফেলেছেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।