ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন নিচু এলাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া ছাড়া বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সকালের পালায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়া, পণ্য ওঠানামা এবং ডেলিভারীসহ সব কার্যক্রম আবার চালু হয়েছে। দুপুর পর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তজাতিক বিমান বন্দরে। নগর জীবনে ফিরে এসেছে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য।
সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল ৷ জেটি থেকে বহির্নোঙ্গরে পাঠানো সব জাহাজ আবার ফিরে আসছে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন নিচু এলাকায় জোয়ারের পানি ডুকেছে লোকালয়ে। এ কারণে দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । মধ্যরাত থেকে জোয়ারের পানি বাজারে প্রবেশ করায় পণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসময় খাতুনগঞ্জের সড়কগুলো হাটু পানিতে ডুবে যায়। এসময় গুদামসহ বিভিন্ন দোকানে পানি প্রবেশ করে। ফলে গুদামজাত করা পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতি গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর চত্বর থেকে সোমবার বিকেল পাঁচটায় পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওইদিন আবহাওয়া অধিদপ্তর বিপৎসংকেত জারির পর বন্দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। এ সতর্কতা অনুযায়ী, জেটি থেকে সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।