সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। গত দেড় মাসে বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়ক থেকে বনপাড়া মহাসড়ক পর্যন্ত এলাকায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০জন। মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালকদের দৌরাত্ম্য, তিন চাকার সিএনজি অটোরিকশা ও যত্রতত্র ভ্যান চলাচলের কারনেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। কোথাও কোথাও আন্ডারপাস নির্মাণের তাগিদও দিলেন।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে হাটিকুমরুল বনপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কে ২৪ ঘন্টাই থাকে সব ধরনের যানবাহনের চাপ। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২জেলায় যাতায়াতকারী যানবাহন এই মহাসড়ক ব্যবহার করে। গাড়ির বাড়তি চাপ ও মহাসড়কের সাথে কয়েকটি লিংক রোড থাকায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
থ্রি হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মহাসড়কটিতে প্রায়শই তা চলছে। সাথে রয়েছে মোটর সাইকেলের বেপরোয়া গতি। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।
বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক আলী ও সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালেকুজ্জামান জানিয়েছেন, মহাসড়কে মোটর সাইকেল চালকদের দৌরাত্ম্য এবং নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিনচাকার অটোরিকশা ও ভ্যান চলাচলের কারনে প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। লিংক রোড পারাপারের জন্য আন্ডারপাস জরুরি বলেও জানান তারা।
ট্রাফিক আইন মেনে যানবাহন চালালে দুর্ঘটনার হার অনেকটাই কমে আসবে বলেও জানান তারা।