সিরিয়ার ভূমিকম্প কবলিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলটিতে কলেরায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।
গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পতে এই এলাকার শরণার্থী শিবিরগুলোর পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী হোয়াইট হেলমেটস। যেখানে আগে থেকেই পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং সুপেয় পানির অভাব ছিল।
হোয়াইট হেলমেটস টুইটে জানিয়েছে, অবকাঠামো, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা লাইন ভূমিকম্পের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে কলেরা মহামারি আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এখনো ভূমিকম্পে আহতদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল এবং চিকিৎসাকর্মীরা। এর মধ্যে কলেরার তীব্র প্রাদুর্ভাব শুরু হলে, পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে শঙ্কা অধিকারকর্মীদের।
গত ৬ ফেব্রুয়ারির প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পে সিরিয়ার এ অঞ্চলে ২০ হাজারেরও বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা এনজিওগুলোর দেয়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছে। লোকে গিজ গিজ করা কেন্দ্রগুলোতে যে পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে রোগ, বিশেষ করে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার মারাত্মক আশঙ্কা করা হচ্ছিল।