বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে অব্যাহতি মানবিক করিডোর নিয়ে অন্ধকারে রেখেছে সরকার: বিএনপি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের নতুন সম্ভাব্য সময়সূচি প্রকাশ টিসিবির জন্য ১৭৭ কোটি টাকার তেল কিনবে সরকার বাংলাদেশকে নিয়ে ভূরাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে: আমীর খসরু বাংলাদেশকে পূর্ব কাশ্মীরে পরিণত করতে চায় ভারত: রিজভী হত্যা মামলায় মমতাজ ৪ দিনের রিমান্ডে রমনায় বোমা হামলা মামলা : ২ জনের যাবজ্জীবন, অন্যদের ১০ বছর সাজা সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়তে পারে তাপমাত্রা সরকার প্রধান হিসেবে প্রথমবার নিজ জন্মভূমিতে যাচ্ছেন ড. ইউনূস জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি ১৭ মে থেকে শুরু হচ্ছে পিএসএল লিবিয়ায় ভয়াবহ সংঘর্ষ, বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানালো হামাস

সিলেট, সুনামগঞ্জে ধীরে কমছে পানি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ২, ২০২২
সিলেট, সুনামগঞ্জে ধীরে কমছে পানি

আগামী ২৪ ঘন্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমতে থাকলেও, মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এদিকে, হাকালুকি হাওর পরিবেষ্টিত কুলাউরা, জুড়ি ও বড়লেখার নিম্নাঞাচলের পানি না নামায় ভোগান্তিতে রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুরের নিম্নাঞাচল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত এক মাসে তৃতীয় দফা বন্যা মোকাবেলা করছেন সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মানুষ। গত দু’দিন পানি বাড়ার পর, কিছুটা কমতে শুরু করেছে সুরমা নদীর পানি। শুক্রবার বিকেল থেকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার এবং সিলেট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। তবে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে কুশিয়ারা নদীর পানি। শনিবার সিলেটে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলেও, তাতে পানি বাড়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সুনামগঞ্জে অব্যাহত রয়েছে বন্যার পানি কমা। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় সুরমা, যাদুকাটা, পাটলাই, রক্তি নদীসহ অন্যান্য নদ নদীর পানিও কমেছে। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ছাতক পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে এখানকার মানুষজন। তবে জেলার কিছু নিম্নাঞাচল এখনো প্লাবিত রয়েছে।

মৌলভীবাজারের মনু, দলই ও কুশিয়ারা একাংশের পানি কমলেও হাকালুকি হাওর পরিবেষ্টিত তিন উপজেলা কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখার নিম্নাঞাচলের পানি না কমায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এখানকার লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কুশিয়ারা নদী সিলেট অংশের পানি এখনো স্থিতিশীল থাকায় মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরের পানি সেদিক দিয়ে নামতে পারছে না।

এদিকে, লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কমতে থাকায় বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি কমে গেছে। তবে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞাচলে এখনো ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এখানকার পানিতে তলিয়ে গেছে ভুট্টা, পাট, ধানসহ বিভিন্ন ফসলের খেত।

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, এখানকার ফসলের জমি প্লাবিত রয়েছে।

তবে আগামী ২৪ ঘন্টায় সিলেট ও সুমামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ