গত কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ক্রমেই বাড়ছে সুনামগঞ্জের নদ-নদী ও হাওরের পানি, নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় প্লাবিত।
মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বেড়েছে যাদুকাটা নদীর ও হাওরের পানি।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সুনামগঞ্জ ও ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতের মেঘালয়ে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সুনামগঞ্জের সব কটি নদ-নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই দুই উপজেলার বেশ কিছু বাড়িঘর স্রোতে ভেঙে গেছে এবং এছাড়া গত এক সপ্তাহ রোদ না থাকায় মাড়াই করা ধান শুকাতে পারছেন না হাওরের কৃষকরা। ধান শুকাতে না পারায় পাকা ধান পঁচে নষ্ট হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, সুনামগঞ্জ ও মেঘালয়ে ভারী বর্ষণ এবং সুনামগঞ্জেও প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বৃষ্টি আর উজানে ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে, তবে বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যেহেতু হাওরে ধান কাটা শেষ তাই কাউকে ধান হাওরে শুকাতে না রাখার আহ্বান করা হয়েছে।