স্পোর্টস ডেস্ক: জমে উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ছোট দুটি দলের কাছে বড় দুই দলের হার। সেই সঙ্গে বৃষ্টির দাপটে বিশ্বকাপ হয়ে গেছে এলোমেলো। সর্বশেষ রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারে পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্ৰথম জয় ছিনিয়ে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে শেষ বলের লড়াইয়ে হার মেনেছিল পাক দল। জিম্বাবুয়ের কাছেও হারের পর সেমিফাইনাল ভাগ্য কার্যত অনিশ্চিত হয়ে গেল বাবর আজমদের।
জিম্বাবুয়ের দুরন্ত জয়ের পরেই গ্রুপ-২ এর সেমিফাইনালের হিসেব-নিকেশ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতত সমীকরণ বলছে পাঁচ-পাঁচটা অঙ্ক মেলালে সেমিতে যেতে পারবে পাকিস্তান।
প্রথমত, গ্রুপ-২’এর বাকি তিনটে ম্যাচেই জিততে হবে পাকিস্তানকে।
দ্বিতীয়ত, শুধু তিনটে ম্যাচ জিতলেই হবে না। বড় ব্যবধানে জিততে হবে, যাতে নেট রান রেট উন্নত থাকে।
তৃতীয়ত, বাকি ম্যাচের ফলাফলের ওপরেও তাদের নির্ভর করে থাকতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে যেমন হারাতে হবে, তেমনই পাকিস্তান আশা করবে, ভারত যেন প্রোটিয়াদের র হারায়।
চতুর্থ, জিম্বাবুয়েকে শেষ তিন ম্যাচের (ভারত, নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশ) মধ্যে অন্তত দুটো ম্যাচে হারতে হবে।
পঞ্চম, তাদের আশা থাকবে যদি বাংলাদেশ বাকি ম্যাচগুলোর মধ্যে একটি ম্যাচে অন্তত হারে।
বর্তমানে যে ফর্মে রয়েছে পাকিস্তান, তাতে তাদের মনোবল যে একদম তলানিতে থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। বাকি তিনটি ম্যাচ ও যে পাকিস্তান জিততে পারবে, এমন আত্মবিশ্বাস ধরে রাখাটাই আপাতত চ্যালেঞ্জ বাবর আজমদের কাছে। তাছাড়া ভারতের ফর্মের ওপরেও নির্ভর করছে পাকিস্তানের ভাগ্য।
ভারত যেভাবে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে তাতে ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফেভারিট কোহলি-রোহিতরাই। রবিবার প্রোটিয়া ম্যাচে পাকিস্তানের পূর্ণ সমর্থন থাকবে ভারতের দিকে।