কৃষকের গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ। চিরাচরিত এই প্রবাদ ফিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে। তেল, পেঁয়াজ, আটা-ময়দায় খাবি খাওয়া ক্রেতার স্বস্তি মিলছে না মসলা কিংবা ডিমের বাজারেও।
বাজারের কোনো প্রান্তেই মিলছে না স্বস্তি। পুরো বাজার ঘুরেও বরাদ্দের অর্থে পণ্য কেনা যেন দায়। ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণের পরও অনেকেই ফিরছেন মলিন মুখে। তেল, পেঁয়াজ, চাল, ডালের জ্বলন্ত উনুনের ছোঁয়া লেগেছে ডিমের বাজারে।
ব্যাঘাত ঘটেনি উৎপাদন কিংবা সরবরাহে। তবু অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যোগ দিতেই যেন নিজের দামটা বাড়িয়ে নিলো ডিম। জাতে উঠতেই কিনা সপ্তাহ ব্যবধানে ডজনপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
বাজারে মাছ ও মাংসের দামও বেশি। এ কারণে ভোক্তারা ডিম কেনা বাড়িয়েছেন। এতে কিছুদিন ভোক্তারা কম দামে ডিম কিনতে পারলেও সেটি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডিমের ওপর চাপ বেড়ে গেছে।
ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কম চাহিদার মৌসুমে এতোদিন তারা ডিমে যে পরিমাণ লোকসান গুনেছেন, এখন দাম বাড়িয়ে তার কিছুটা হলেও সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন।
এদিকে কুরবানির ঈদের অজুহাতে মসলার বাজারও হঠাৎ অস্থির। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বাড়লো জিরার দাম। প্রতিযোগিতায় মত্ত অন্যান্য মসলাজাতীয় পণ্যও। পেঁয়াজের দাম যখন ক্রেতার চোখের জল, নাকের জল এক করে দিচ্ছে, তখন দুশ্চিন্তার আরেক নাম রসুন।
পণ্যের দাম জানার পর চোখে শর্ষে ফুল দেখা ক্রেতা কমিয়েছেন খাবার পরিমাণ। কমতে কমতে যেটা এখন নেমেছে নূন্যতম পুষ্টির সীমা রেখায়।