মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ‘স্বাধীনতা সড়ক’ বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
শনিবার সকালে মেহেরপুরে মুজিবনগরে নির্মিত ‘স্বাধীনতা সড়ক’ পরিদর্শনে শেষে তাজুল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ খান তার সঙ্গে ছিলেন।
সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সড়কটির উদ্বোধন করবেন।
মুজিবনগরের স্মৃতি রক্ষার্থে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে মেহেরপুরের মুজিবনগরে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়কটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়কটি পরিদর্শন করে এর কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিসহ কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে রাস্তাটির গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্টজন এবং দেশি-বিদেশি অসংখ্য সংবাদকর্মী ভারতের কলকাতা থেকে নদীয়া হয়ে এ সড়কে মেহেরপুরের মুজিবনগর আসেন। বৈদ্যনাথতলায় যা এখন মুজিবনগর হিসেবে পরিচিত এখানেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। শপথ নেন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ। এই সড়কটি দুই দেশের মধ্যকার সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের দুঃসময়ে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সাহায্য এবং সহযোগিতা করায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।