অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আবদুল মালেককে ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এই রায় দেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ উদ্দিন প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায়ের সময় আদালতে হাজির ছিলেন আসামি মালেক। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তাঁর কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তিনি এই আদালতে ন্যায়বিচার পাননি।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক–শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার দিন নির্ধারণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সালাহউদ্দিন হাওলাদার।
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীনুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্র মামলায় মালেককে দুটি ধারায় মোট ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এই মামলায় ৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এই মামলায় ১৩ সাক্ষীর সবাই আদালতে সাক্ষ্য দেন।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, জাল টাকাসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মালেক। তাঁর বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। অস্ত্র মামলায় মালেকের বিরুদ্ধে গত জানুয়ারিতে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ১১ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন।
আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। অষ্টম শ্রেণি পাস আবদুল মালেক ১৯৮২ সালে গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন। বছর চারেক পর অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে যোগ দেন। গ্রেপ্তারের আগপর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মালেককে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায়, আবদুল মালেকের স্ত্রী দুজন। প্রথম স্ত্রী নার্গিস আক্তারের নামে তুরাগ এলাকার দক্ষিণ বামনারপাড়া রমজান মার্কেটের উত্তর পাশে ছয় কাঠা জায়গার ওপর সাততলার দুটি আবাসিক ভবন রয়েছে। এতে ফ্ল্যাট আছে ২৪টি। ওই ভবনের সামনে আছে ১০ থেকে ১২ কাঠার আরেকটি প্লট। ভবনের তৃতীয় তলায় তিনি সপরিবার থাকেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া। বড় মেয়ে বেবির নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জায়গার ওপর ইমন ডেইরি ফার্ম নামের গরুর খামার আছে। এর বাইরে হাতিরপুলে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাড়ে চার কাঠা জায়গার ওপর ১০তলা ভবন নির্মাণাধীন।