ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল- বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত সড়কে থেমে থেমে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এদিকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে এখনও চাপ দেখা যায় নি।
সড়ক ও রেলপথে স্বস্তির ঈদযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। নৌপথেও এখন পর্যন্ত বড় ভোগান্তির তেমন কোনো খবর নেই।
ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিনে শনিবার (৩০ এপ্রিল) ধূমকেতু এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট এবং নীলসাগর এক্সপ্রেস ৪৫ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়। তবে বাকি ট্রেনগুলো কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সঠিক সময়েই ছেড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই হাজারো ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো স্টেশন।
এদিকে গাবতলী ও মহাখালীতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যারা আগাম টিকিট কাটেননি, টিকিট পেতে অপেক্ষার কথা জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটে নাকাল হচ্ছে উত্তরবঙ্গগামীরা। মহাসড়কটির হাতিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে লাগছে তিন থেকে চার ঘণ্টা। তবে দুপুরের পর এখানকার পরিস্থিতি সহনীয় হয়ে এলেও বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের গোল চত্ত্বর থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত জট তৈরি হয়েছে।
গণপরিবহণ কম থাকায় ট্রাক ও পিকআপে চড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। সঙ্গে বাড়তি ভাড়া গুনার কষ্ট তো আছেই।
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরেও রয়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ।
তবে ভোগান্তিতে রয়েছে শিমুলিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটের যাত্রীরা। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে আজও ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় মধ্যরাত থেকে আটকা পড়েছে তিন শতাধিক (দূরপাল্লার বাস ও ছোট গাড়ি) যাত্রীবাহী যানবাহন। রাতভর এসব যানবাহনের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। ফেরি পেতে প্রতিটি যানবাহনকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টাখানেক।
আর মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। যানবাহনের চেয়ে যাত্রী বেশি পার করতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে। প্রতিটি ফেরিতে পার হচ্ছেন হাজারখানেক যাত্রী।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রুটে ২১টি ফেরি ও ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশো’ গাড়ি। ৮৫টি লঞ্চ, একশো’ ৫৫টি স্পিডবোট ও ১০টি ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছে হাজারো মানুষ।