কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার খবরের জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হামলার ঘটনায় গতকাল বুধবার রাত ১১টা থেকেে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ ঘটনা তদন্তে আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুই প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আজ বেশ কয়েকবার চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ ও হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও তাঁরা ধরেননি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাত সোয়া ৮টায় হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিল থেকে লক্ষ্মীনারায়ণ আখড়ায় ঢিল ছোড়া হয়। একপর্যায়ে মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। এতে তিনজন নিহত ও পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্যাহ বলেন, নিহত তিন ব্যক্তির লাশ আজ সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাসংক্রান্ত খবরটি খতিয়ে দেখছে সরকার। গতকাল এক তথ্য বিবরণীতে সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাসংক্রান্ত খবরটি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যদি কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইন হাতে তুলে না নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।