ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ দল। সেই সিরিজটি থেকেই হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয়া শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর একইভাবে সুবিধা নিয়ে ২০১৭ সালে হারায় অস্ট্রেলিয়াকেও। পরের বছর হোম অব ক্রিকেটে স্পিন নির্ভর উইকেট বানিয়ে ক্যারিবিয়দের বধের নজিরও আছে টাইগারদের।
আর এমন সুবিধা নিতে গিয়ে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে গেলে বিপাকে পড়ে টাইগাররা। যার প্রমাণ সদস্য সমাপ্তা শ্রীলঙ্কা সিরিজ। টাইগার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য বলছেন ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে পাওয়া জয়গুলোই ক্ষতি করছে।
শুক্রবার (২৭ মে) ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিনে সফরকারী লঙ্কানদের কাছে খুব বাজে ভাবে হারে বাংলাদেশ। দলের এমন পরাজয়ের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাসেল ডমিঙ্গো। বর্তমান কোচের মতে, সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আমলে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্পিন নির্ভর পিচ বানিয়ে জয় পেলেও আক্ষরিক অর্থে হয়েছে ক্ষতি। যে কারণে এখন স্পোর্টিং উইকেটে খেলে নাকানি চুবানি খেতে হচ্ছে।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘এটা (অতি স্পিন নির্ভর উইকেট) হয়তো আমাদের একটা টেস্ট ম্যাচের জন্য সাহায্য করবে। কিন্তু দীর্ঘ পরিসরের জন্য টেস্ট দল গড়তে সাহায্য করবে না। আগের টেস্ট জয়গুলোর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ওই টেস্ট জয় আমাদের পরে হয়তো ক্ষতিই করেছে। কারণ, এরপর ভালো উইকেটে যখন খেলেছি, তখন ভালো করিনি। আমরা যদি স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে খেলি, এরপর ঘরের বাইরে ভালো উইকেটে খেলি, তাহলে আমাদের কোনো সুযোগই থাকবে না।’
দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ বলেন, ‘আমাদের টেস্ট সংস্কৃতি গড়তে হলে, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনতে হলে ভালো উইকেটে খেলতে হবে। এই টেস্টের উইকেট ভালো ছিল। টেস্টের পঞ্চম দিন ফল এসেছে, ভালো উইকেট! চট্টগ্রাম ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু সেখানেও ফল হতে পারত। ওরা বাজে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত তাই ভালো করতে পারছে না। আমি হতাশাটা বুঝতে পারছি। যত ভালো উইকেটে আমরা খেলব, ক্রিকেটারদের উন্নতিও ততো ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি সবাই জিততে চাচ্ছে। আমি জানি চট জলদি ফলাফলের সুযোগ আছে। বাজে উইকেটে খেলে প্রতিপক্ষকে ১০০ রানে অলআউট করে ফেলে আমরা ১২০ রান করব। এভাবে খেললে দল উন্নতি করবে না। এভাবে খেলেও কিন্তু সিরিজ জিততে পারিনি।’