দেশে পাঠানো প্রবাসীদের আয় বা রেমিটেন্সের অর্ধেকই আসে হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধপথে। রেমিটেন্সের ওপর নগদ প্রণোদনা দেয়ার পরেও ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর চেয়ে হুন্ডিতে পাঠাতেই আগ্রহী প্রবাসীরা। কারণ তাতে টাকা বেশি পায়। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, হুন্ডি বা অবৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এদিকে, জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়ের অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে সরকার নানা সুবিধা দিচ্ছে। নগদ আড়াই শতাংশ প্রণোদনাও চালু আছে। জুলাই মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২শ’ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। তারপরেও প্রবাসী আয়ের প্রায় অর্ধেক দেশে আসে হুন্ডি বা অবৈধ পথে। যার হিসাব মূল অর্থনীতির বাইরে রয়ে যায়।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, হুন্ডিতে আসা টাকা, কালো টাকা। সরকার এটাকে নিরুৎসাহিত করছে।
আমদানি-রপ্তানিতে সঠিক তথ্য না দিয়েও টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। তবে তার সঠিক হিসেব নেই তার কাছে।
এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে,জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, জুন মাসে যা ছিলো ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি আরো কমবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির সভায়, ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর ও ১ লাখ মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ৩ কোটি ৩০ লাখ লিটার জ্বালানি তেল ও ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।