ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লেখক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসি দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির সদস্য। রায় শেষে বিচারক আল মামুন বলেন, অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে।
এদিকে সকালেই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে দুই আসামিকে আদালতে নেয়া হয়েছে। এতক্ষণ তাদের রাখা হয়েছিল হাজতখানায়। অন্য দুই আসামি পলাতক আছেন।
প্রায় দেড় যুগ আগের এ হত্যা মামলার রায় ঘিরে আদালতপাড়ার সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদ হত্যার রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাত করা হয় ডক্টর হুমায়ুন আজাদকে। এরপর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে তাকে নেয়া হয় ব্যাংককে। পরবর্তীতে জার্মানিতে মারা যান তিনি।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। এছাড়া হাফিজ মারা গেছেন।