দিল্লি সরকার আজ থেকে আবগারি নীতি বাতিলের ঘোষণা করেন। এরপর থেকে দিল্লির মদের স্টকে থাকা মদের দোকানে একটা কিনলে একটা ফ্রি, বা একটা কিনলে দু’টি ফ্রি-র মতো অফার দেওয়া হয়।
এ কারণে মদের দোকানগুলির সামনে মদ্যপ্রেমীদের লম্বা লাইন দেখা যায়। গতকাল রোববার (৩১ জুলাই) যে সরকারি ছুটির দিন ছিল তা দেখে বোঝার উপায় ছিল না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পছন্দসই মদ কিনেন মদ্যপ্রেমীরা।
রোববার ঘুম ভাঙতেই তারা হাজির হয়ে যায় কাছের মদের দোকানে। লাইন দিয়ে কিনেন পছন্দসই মদ। কেউ কেউ আবার গোটা বাক্স তুলে নিয়ে যান। সকলের মনেই ভয়, কাল থেকে যদি আর মদ না পাওয়া যায়!
মদ বিক্রির নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই, উল্টোপথে হেঁটেছে ভারতের দিল্লি রাজ্যের ক্ষমতাসীন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। রাতারাতি নির্দেশ দেওয়া হয় যে, ১ আগস্ট থেকে ফের পুড়নো মদ বিক্রির নীতিই কার্যকর হবে। যেসব বেসরকারি মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সরকারের এই ঘোষণার পর থেকেই বিগত কয়েকদিন ধরেই দিল্লিতে ব্যাপক হারে বিক্রি বেড়েছে মদের। তবে রোববার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। লকডাউন ওঠার পর ঠিক যেরকম কয়েক কিলোমিটার লম্বা লাইন পড়েছিল, একইভাবে গতকালও দিল্লির একাধিক প্রান্তে সেই একই চিত্র ধরা পড়ে।