ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে ১০ ইরানি সামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তারা রুশ সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে ক্রিমিয়া সফরে গিয়েছিলেন উল্লেখ করেছে কিয়েভ।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেএএন নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা দাবি করেন- হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ ইরানিকে হত্যায় সমর্থ হয়েছেন তারা। তবে কীভাবে এবং কখন এ হামলা হয়েছে তা জানাননি তিনি।
ইরানি কর্মকর্তাদের রাশিয়া সফর নিয়ে আগে থেকেই অভিযোগ দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। তারা সতর্ক করে জানায় যে, এই ইরানিরা রুশ সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধে কৌশলগত হামলায় বিশেষ সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করতে শুরু করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের দাবি এই ড্রোন ইরান থেকে আনা হয়েছে। মূলত সেই ড্রোন কীভাবে চালাতে হয়, তা শেখাতেই এই ইরানি কর্মকর্তারা ক্রিমিয়া সফর করেছিলেন। তাদেরকে খেরসনেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন ওই ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা। কীভাবে ইউক্রেনের বিভিন্ন টার্গেটে হামলা চালাতে হবে সেটিই রুশদের শেখাচ্ছিল তারা।
এর আগে ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালাতে ইরানি সামরিক বাহিনীর কর্মীরা ক্রিমিয়া থেকে রুশ বাহিনীকে সহায়তা করছে বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ তোলেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন- আমরা মূল্যায়ন করে দেখেছি রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ায় ইরানি সামরিক কর্মীরা রয়েছেন এবং ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রাশিয়াকে সহায়তা করছেন।
একইদিন পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, আমরা ইরানকে শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, ইউক্রেনেও সন্ত্রাস রপ্তানির ক্ষেত্রে জড়িত হতে দেখছি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইসও বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একই কথা বলেন।
যদিও মার্কিন সব অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে ইরান। রাশিয়াও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, হামলায় ব্যবহৃত সকল অস্ত্র সম্পূর্ণ রাশিয়ার হাতে তৈরি। অন্যদিকে ইরানিদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছে তেহরান। সামরিক সংঘাত জোরালো হওয়ায় এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইরানিদের ইউক্রেনে না যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।