বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর রোববার থেকেই দেশের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে দীপু মনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে রোববার এই আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
দীপু মনি বলেন, ২০২১-২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রত্যেক দিন বিদ্যালয়ে যাবেন। এছাড়া অন্যান্য ক্লাস একদিন চলবে। একইভাবে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণি প্রতিদিন এবং অন্যান্য ক্লাস সপ্তাহে একদিন চলবে বলেও মন্ত্রী জানান।
এরআগে শনিবার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানান, প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে কোন কোন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবে, পর্যায়ক্রমে কোন কোন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আনা হবে, তা নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিটরিং, নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে খোলা রয়েছে। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত যাচ্ছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রয়েছে। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে শিক্ষকরা বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলেই শ্রেণি পাঠদান শুরু করা হবে।