১৯৮২ সালে ইতালির বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পাওলো রসি আর নেই। ৬৪ বছর বয়সে গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন রোসি। তার স্ত্রী ফেডেরিকা কাপেলেতি ইন্সটাগ্রামে রোসির মৃত্যর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
কিংবদন্তী এই ফরোয়ার্ডের মৃত্যুর সঠিক কারন জানা না গেলে ইতালিয়ান গণমাধ্যমের দাবী দীর্ঘদিন ধরেই রোসি দূরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন।
আজ্জুরিদের হয়ে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত ৪৮ ম্যাচ খেলা রসি বিশ্বকাপ জয়ের পাশপাশি ঐ একই আসরে গোল্ডেন বুট ও একইসঙ্গে গোল্ডেন বল জেতেন। ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন জুভেন্টাস ও এসি মিলানের মতো জায়ান্ট দলগুলোতে। শেষ বয়সে ইতালিয়ান টিভি চ্যানেল আরএআই স্পোর্টসে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন এই তারকা স্ট্রাইকার। এই সংবাদমাধ্যমটিও তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
রসি জুভেন্টাসের হয়ে দুটি সিরি-আ, একটি ইউরোপিয়ান কাপ ও একটি কোপা ইতালিয়া জিতেছেন। তবে তার সেরা সময়টি আসে জাতীয় দলের হয়ে ৩৮ বছর আগে সেই স্পেন বিশ্বকাপে। ক্যারিয়ার সেরা টুর্নামেন্টে সেরা ৬টি গোল করেই সবার নজর কাড়েন তিনি। ঐ বছরই অসাধারণ নৈপুন্যের কারনে জিতেছিলেন ক্যারিয়ারের একমাত্র ব্যালন ডি’অর খেতাব।
জাতীয় দলের হয়ে সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে ইতালির জার্সি গায়ে করেছেন ২০টি গোল। দেশের এই কিংবদন্তী ফুটবলারের মৃত্যুতে ইতালিয়ান গণমাধ্যমগুলো শ্রদ্ধা জানিয়েছে। গাজ্জেটা ডেলো স্পোর্টস হেডলাইনে লিখেছে, ‘ফুটবল ও ইতালি পাওলো রসির জন্য শোকাহত।
ক্লাব পর্যায়ে জুভ ও মিলান ছাড়াও রসি কোমো, ভিসেনজা, পেরুগিয়া ও হেয়াস ভেরোনার হয়ে খেলে ১৯৮৭ সালে অবসর নেন। সব ক্লাবের হয়ে ৩৩৮ ম্যাচে ১৩৪টি গোল করেন তিনি।
১৯৮২ সালের বিশ^কাপে ব্রাজিলের হয়ে ইতালির ৩-২ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে রসি হ্যাটট্রিক করেছিলেন। সেমিফাইনালে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতেও তিনি জোড়া গোল করেছিলেন। ফাইনালে পশ্চিম জার্মানীতে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। আজ্জুরিদেও হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন রসি।
১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থান পাওয়া দলটিরও গর্বিত সদস্য ছিলেন তিনি। ক্রিস্টিয়ান ভিয়েরি ও রবার্তো ব্যাজ্জিওর সাথে বিশ^কাপে সর্বোচ্চ ৯ গোলের ইতালিয়ান রেকর্ড স্পর্শ করেছেন রসি। ১৯৮২ সালে ইউরোপীয়ান বর্ষসেরা ফুটবলার মনোনীত হয়েছিলেন।
১৯৭৩ সালে জুভেন্টাসের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন রসি। তবে তুরিনে তার প্রথম দুই বছর হাঁটুর ইনজুরির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।