বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির আওতায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার সহায়তায় কক্সবাজারের ক্যাম্পে ১ লাখ ১০ হাজারেও বেশি রোহিঙ্গা শিশু ও কিশোর করোনার প্রথম টিকা পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাউ বলেন, রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের টিকাদানের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রথম দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। তাদের টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নীতি এবং স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন মানবিক সংস্থা ও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশংসনীয় প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই সময়োচিত মাইলফলকে আমরা পৌঁছেছি।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার অর্ধেকেরও বেশি শিশু। জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সবাইকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী রোহিঙ্গাদের প্রায় শতভাগকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃপক্ষগুলোর নেতৃত্ব এবং ইউএনএইচসিআর, জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা, মানবিক অংশীদার ও শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তার মাধ্যমে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিশোর আবুল জামিল (১৫) বলে, টিকা দেয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। সামান্য একটু চিমটির মতো লেগেছিল। কিন্তু আমরা জানি, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা আরও নিরাপদ বোধ করছি।
মোট প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা এখন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে, যা ১২-১৭ বছর এবং ১৮-এর বেশি বয়সী রোহিঙ্গাদের ৯০ শতাংশ। টিকা গুরুতর কোভিড সংক্রমণ কমানোর চাবিকাঠি। ১২ বছর ও তদূর্ধ্ব রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের দ্বিতীয় টিকার সময় বাংলাদেশ সরকার নির্ধারণ করবে আসন্ন ঈদের ছুটির পর।