৬০ ঘণ্টার জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি। সারা বিশ্বে খেলাধুলার শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর আগেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে এই ট্রফি। তারই ধারাবাহিকতায় তৃতীয়বারের মতো বুধবার (৮ জুন) বাংলাদেশে এসেছে সোনালী ট্রফিটি।
আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ৩২ দেশসহ মোট ৫১টি দেশে ভ্রমণ করবে বিশ্বকাপ ট্রফি। ফিফা ও কোকাকোলার সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের উদ্যোগে আবারও ঢাকায় আসে এটি।
২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের আগেও প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এসেছিল ট্রফিটি। এরপর ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের আগে দ্বিতীয়বার (২০১৩ সালে) ও সবশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ কাপ মাঠে গড়ানোর আগে তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ ভ্রমণে আসে ট্রফিটি।
২০০২ সালে বিশ্বকাপের ১৭তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। ইতিহাসে সর্বোচ্চ পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল সেলেসাওরা। জাপানের ইয়োকোহামার ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৩০ জুন শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল-জার্মানি। সেই ম্যাচে জার্মানদের জালে ২ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড গড়ে পেলে-রোনালদোরা ব্রাজিল।
তবে ব্রাজিলের তৎকালীন অধিনায়ক কাফুর আগে বিশ্বকাপ ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরেছিলেন বাংলাদেশের সে সময়ের অধিনায়ক আলফাজ আহমেদ। কাফুর আগে চুমুও দিয়েছিলেন তিনি।
২০০২ সালের ২৭ এপ্রিল বিশ্বকাপ ট্রফি প্রথমবার বাংলাদেশে আসে। সে আসরের কো-স্পন্সর জিলেটের উদ্যোগে মাত্র ১২টি দেশে বিশ্ব ভ্রমণ করে বিশ্বকাপ ট্রফি। তবে ২০১৩ ও ২০২২ সালের মতো ২০০২ সালে আগত বিশ্বকাপ ট্রফিটি কাঁচের বাক্সে বন্দী ছিল না। বাক্সহীন ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও। সেবার বিশ্বকাপ ট্রফি আগমণ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতে আয়োজন করা হয় কনর্সাট।
এদিকে ২০০২ ও ২০২২ সালে বিশ্বকাপের আসল ট্রফি বাংলাদেশে এলেও ২০১৩ সালে আসে ট্রফির রেপ্লিকা।