বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে মূল্যস্ফীতি। তাতে লাগাম টানতে আবারও সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল। এতে মার্কিন মুদ্রা ডলারের মূল্য ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে দামি ধাতুটির দরপতন হয়েছে।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৯ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্পট গোল্ডের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে ১৭২৬ ডলার ৬১ সেন্টে। এর আগে মূল্যবান ধাতুটির দর ১৭২২ ডলার ৫৬ সেন্টে নেমে গিয়েছিল। গত ২৭ জুলাইয়ের পর যা সর্বনিম্ন।
যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের মূল্য হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে ১৭৩৭ ডলার ৯০ সেন্টে।
এদিন বিশ্ববাজারে একগুচ্ছ বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য আকাশ ছুঁয়েছে। প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার দরের ওঠা-নামার সূচক ইউএসডিএক্স ২ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে গিয়ে ঠেকেছে। বর্তমানে তা ১০৯ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে গিয়ে ঠেকেছে। এতে ইউরো, ইয়েন, ব্রিটিশ পাউন্ডসহ একাধিক মুদ্রার দাম কমেছে। স্বাভাবিকভাবেই স্বর্ণের দামে পতন হয়েছে।
সিটি ইনডেক্সের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলেন, বিশ্ববাজারে ফের স্বর্ণের দর নিম্নমুখী হয়েছে। কিছু সময় নিরাপদ আশ্রয় প্রবাহ হবে। কারণ, বর্তমানে উচ্চ সুদের হারের দিকে মনোনিবেশ করছেন বিনিয়োগকারীরা।
অর্থনৈতিক সংকটকালে স্বর্ণকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ফেডের সুদের হার বৃদ্ধি মূল্যবান ধাতুটির জন্য স্পর্শকাতর। কারণ, এতে ডলারের দাম বেড়ে যায়।