করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ হয়নি। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় এবার সেখানে আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতির কাজ।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় ঈদগাহ মাঠে চলে প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কর্মকাণ্ড। ইতোমধ্যে বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল করার কাজ শেষ হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঈদের দিন রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে।
সেই শঙ্কায় প্যান্ডেলে শামিয়ানা ও ত্রিপল টানানো হয়েছে। মাঠের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারো সরদার অ্যান্ড সন্স।
মাঠে মাইক ও বৈদ্যুতিক সংযোগের কাজও চলছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে, আগামী সোমবার (২ মে) অথবা মঙ্গলবার (৩ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। সেসময় তীব্র গরম পড়তে পারে। তাই মুসল্লিদের দুর্ভোগ লাঘবে সিলিং ফ্যান ও প্যাডেস্টাল ফ্যান বসানো হবে। সেই সঙ্গে ওজুর ব্যবস্থা তো থাকছেই। এছাড়া মোবাইল টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তায় প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চারদিকে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ঢাকার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৮৪ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পারেন।
সেখানে পৃথকভাবে নারীদের জন্যও ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়।এ বছর জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।তবে আবহাওয়া ভালো না থাকলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাতের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।