বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: দুজন হিজড়াসহ সাতজন অসহায়কে চাকরি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
অন্য পাঁচজনের মধ্যে দুজন অ্যাসিডদগ্ধ নারী, দুজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি ও সম্প্রতি রাজধানীর রামপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের ভাই।
বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ‘সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাক্টিভিজম’ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র ওই সাতজনকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ১১ জন হিজড়াকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে ডিএনসিসিতে এটাই প্রথম।
চাকরিপ্রাপ্ত সাতজন হলেন হিজড়া সম্প্রদায়ের মইনুল ইসলাম ওরফে অনামিকা ও আসিফ নেওয়াজ ওরফে মেঘ, অ্যাসিডদগ্ধ নারী নাসরিন জাহান ও লুলু মানসুরা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ সাবিনা ইয়াসমিন ও সানজিদা আক্তার এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্র মাইনুদ্দিন ইসলামের ভাই মনির হোসেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা, বাল্যবিবাহ, অ্যাসিড নিক্ষেপসহ সামাজিক ব্যাধিগুলোর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। নারী-পুরুষ সবাইকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে।
মেয়র আরও বলেন, ‘এ বছরের সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাক্টিভিজমের মূল প্রতিপাদ্য “কমলা রংয়ের বিশ্ব গড়ি, নারী নির্যাতন বন্ধ করি,” যা সময়োপযোগী ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ার যে উদ্যোগ, সেটি বাস্তবায়ন করতেই ওই সাতজনকে সিটি করপোরেশনে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিএনসিসি এলাকার পাঁচজন নির্বাচিত কাউন্সিলরকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাদ হোসেন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সালেক মোল্লাহ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজুর রহমান, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. লিয়াকত আলী ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নাসির উদ্দীন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জোবায়দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, শক্তি ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক ইমরান আহমেদ ও ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।