শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ছয় বছরের জন্য নারী ফুটবল দলের স্পন্সর ‘ঢাকা ব্যাংক’ দেশের ফুটবল নিয়ে উঠছে ব্যর্থতার নানা প্রশ্ন চাহিদা থাকলেও ভিসা জটিলতায় পিছিয়ে আমিরাতে শ্রমিক নিয়োগ ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রোববার ঈদ চীন সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা করলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে: মির্জা ফখরুল সংস্কারের কথা বলে জনগণের সাথে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে: রিজভী আগামীকাল ফ্রান্সে ঈদুল ফিতর ভারত-পাকিস্তান পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘোষণা করেছে সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হওয়া ৪১০টি মামলা প্রত্যাহার পরম শ্রদ্ধায় ড. ইউনূসকে বিদায় জানালো চীন ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে জেলা প্রশাসকের বাংলো থেকে সংসদ নির্বাচনের সিল মারা ব্যালট উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার

৫০ বছর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত মুসলিম বাজারের শহীদরা

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০২২

মুসলিম বাজার বধ্যভূমি থেকে উদ্ধারকৃত একাত্তরের গণহত্যায় নিহতদের দেহাবশেষ সোমবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে মিরপুরে নূরী মসজিদের সংস্কার কাজ করার সময় কূপ খনন করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের অনেক স্মৃতিচিহ্ন। এসব স্মৃতিচিহ্ন উদ্ধারের পর কিছু সংরক্ষণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর এবং সামরিক যাদুঘরে। আর বাকি দেহাবশেষ ব্যবহার হয় গবেষণার কাজে। ডিএনএসহ নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সেগুলো আজ সমাহিত করা হলো।

সোমবার সকাল ১০ টায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি এর উপস্থিতিতে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এ দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের বর্বরতা ও নৃশংসতার চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা শত শত বধ্যভূমি। এখন পর্যন্ত ঢাকায় ৬৫টি বধ্যভূমি আবিস্কৃত হয়েছে। এসবের মধ্যে ২৫টিরই অবস্থান মিরপুরে। আলোচিত জল্লাদখানা বধ্যভূমি থেকে মাত্র দেড়-দুই কিলোমিটার দূরে মুসলিমবাজার। যেটি এখন পল্লবী থানায় অবস্থিত।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ফলে বাংলাদেশের অসংখ্য বধ্যভূমির অন্যতম হচ্ছে মিরপুরের মুসলিম বাজার বধ্যভূমি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের মদদপুষ্ট রাজাকারদের হিংস্রতা যে কত ভয়াবহ ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে। সে বছরের ২৭ জুলাই মিরপুরে ১২ নং সেকশনের নূরী মসজিদের সংস্কার কাজ করার সময় কূপ খনন করলে বেরিয়ে আসে ১৯৭১ সালের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্ন।

১৯৯৯ সালের ২৭ জুলাই মুসলিম বাজার বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার করা হয় একাত্তরের গণহত্যায় নিহতদের মাথার খুলি ও হাড়গােড়ের সাথে চুলের বেনী, ওড়না, কাপড়ের অংশবিশেষসহ তাদের বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রী।

এসব একাত্তরের শহীদদের কিনা তা পরীক্ষা করে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এ কমিটি কর্তৃক মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মােৎসর্গকারী শহীদদের নিদর্শনসমূহের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং শহীদদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনের টিস্যু স্যাম্পল নিয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণা সম্পন্ন করা হয়। পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর এসবের কিছু সংরক্ষণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। কিছু রাখা হয় সামরিক জাদুঘরে। আর বাকি অংশ রাখা হয় কমিটির আহ্বায়ক ড. এম এ হাসানের বাসায়।

ডিএনএসহ নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সেগুলো সোমবার সকালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে উদ্ধারের ২৩ বছর পর বীর শহীদদের প্রতি এ সম্মাননা জানানো হলো।

একাত্তরেরর বীর শহীদদের দেহাবশেষ সমাহিত করতে পেরে সেনাবাহিনী অনেক গৌরবান্বিত এবং ভবিষ্যতেও এ দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন হলে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। দাফনকার্য সম্পন্ন হলে এ সমগ্র প্রক্রিয়ায় সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সেনাপ্রধান।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ