বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৬ দিন হরতাল দিয়েছিল। জ্বালাও পোড়াও করেছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলেছিল। এখন তারা নির্দলীয় সরকার বিরোধীতা করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়া সংক্ষিপ্ত রায়ে আরো দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক অবসর গ্রহণের পর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে তা উল্লেখ করেননি। বিচারপতি খায়রুল হক অনৈতিক কাজ করেছে। জাতি তাকে কখনো ক্ষমা করবে না।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরাম কর্তৃক গুলশানের একটি হোটেলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুদূর প্রসারী চিন্তা করে তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে নীল নকশা অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। শক্তি প্রয়োগ করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। সরকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বৃটিশ, পাকিস্তান আমলের দুঃশাসনকে ছাড়িয়ে গেছে। কেউ কথা বলতে সাহস করে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে তাতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র রক্ষা সম্ভব নয়। সংবিধান কোনো বাইবেল নয়, এটি মানুষের জন্য। তাই জনগনের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিধান সংযোজন করা যেতে পারে। যা পরে আইনসিদ্ধ করে নেয়া যেতে পারে। যে নামেই হোক নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
সংগঠনের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরামের বক্তব্যে সড়ক পরিবহনও ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। ‘বিআরটি প্রকল্প যে গলার কাঁটা ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য তা প্রমাণিত। গত দশ বছর যাবত মানুষ কষ্ট করছে এখন বলে এই প্রজেক্ট গলার কাটা। নিলর্জ্জ না হলে এতক্ষণে তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর সংবিধান ধ্বংস করার জন্য কেউ দায়ী থাকে তাহলে সেটা আওয়ামী লীগ। একদলীয় শাসন চালু করেছিল। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। যার কারণে সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি।
এখন আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে ক্ষমতায় আছে। তাদের দুঃশাসন সব শাসন ব্যবস্থাকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশকে পঙ্গু বানিয়েছে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।